মরসুমের প্রথম জল ছাড়ল কংসাবতী। শনিবার বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে কংসাবতী নদীর জলাধার থেকে জল ছাড়া হয়েছে। তবে রবিবার ওই জলাধার থেকে কোনও জল ছাড়া হয়নি।
কিছু দিন আগেও ছবিটা ছিল অন্য রকম। গত সপ্তাহের নিম্নচাপে ভোল বদলেছে মুকুটমণিপুর জলাধারের। রুখাশুখা জলাধার ফুলেফেঁপে উঠেছে। কংসাবতী দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মুহুর্তে জলাধারে প্রায় ৪২৫.৬ ফুট জল রয়েছে। জলাধারের ধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট। কংসাবতী বিভাগের খাতড়া মহকুমা আধিকারিক সৌরভ দাস জানান, শনিবার ১৩ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়েছে। এর ফলে বেশ কিছু চাষ জমি সেচ খালের মাধ্যমে জল পেয়েছে বলে তিনি জানান। যদিও কংসাবতীর ছাড়া জলে কোথাও প্লাবন বা জনজীবন ব্যহত হয়নি বলেই প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। বাঁকুড়া জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “কংসাবতীর ছাড়া জলে জনজীবন ব্যহত হওয়া বা কজওয়ে ডুবে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর নেই।”
জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) আশিসকুমার বেরা জানান, জুলাই মাসে জেলায় বৃষ্টিপাতের গড় ঘাটতি ছিল প্রায় ৮১ মিলিমিটার। চলতি মাসের শুরুর থেকেই স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ভাল বৃষ্টির দৌলতে ইতিমধ্যেই বাঁকুড়ায় খারিফ ধান রোয়ার লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাকি কাজটুকুও হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কৃষি দফতর। আশিসবাবু বলেন, “কংসাবতীর ছাড়া জলের পুরোটাই চাষ জমিতে না এলেও যতটুকু পাওয়া গিয়েছে তাতেই লাভ হয়েছে। এই মূহুর্তে জেলায় ভাল বৃষ্টিও হচ্ছে। সব ঠিকঠাক চললে চাষে এ বার জলের ঘাটতি না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।”