প্রতিবাদ: কোটশিলায় পুরুলিয়া-রাঁচি রাস্তায় অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙচুরের পরে এ বার মদের দোকান উচ্ছেদের দাবিতে অবরুদ্ধ হল চাষমোড়-তুলিন রাজ্য সড়ক। বুধবার দুপুর থেকে ওই দাবিতে ঘণ্টা তিনেক যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে পড়ে এই রাজ্য সড়কে। কোটশিলার হাটতলা এলাকায় দুপুর ১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত অবরোধ চলে। এলাকার স্বনির্ভর দলের মহিলাদের সঙ্গে এই অবরোধে নেতৃত্ব দেয় আদিবাসী কুড়মি সমাজ। বিভিন্ন গ্রামের কয়েকশো মহিলা রাস্তার উপর বসে পড়েন। তাঁদের হাতের প্ল্যাকা র্ডে লেখা, গ্রামে গ্রামে অবৈধ মদভাটি বন্ধ করতে হবে।
আদিবাসী কুড়মি সমাজের নেতা অজিত মাহাতোর অভিযোগ, জাতীয় ও রাজ্য সড়কের পাশের মদের দোকান বন্ধ রাখার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কোটশিলায় রাজ্য সড়কের পাশের মদের দোকান মাঝে মাঝে খুলছে। অথচ প্রশাসন নির্বিকার।
তা ছাড়া, এলাকার গ্রামে গ্রামে নিত্যনতুন অবৈধ মদের ঠেক গজিয়ে উঠছে। প্রশাসনকে অবিলম্বে তা বন্ধ করার দাবি তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের দীর্ঘ অবরোধের জেরে এ দিন রাঁচিগামী একমাত্র রাস্তার দু’পাশে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। জেলা পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। অজিতবাবু বলেন, ‘‘আমাদের দাবি মেনে রাজ্য সড়কের ধারের মদের দোকানটি প্রশাসন তালা বন্ধ করে দিয়েছে।’’ তার পরে অবরোধ ওঠে।
যুগ্ম-বিডিও (ঝালদা ২) অয়ন রক্ষিত বলেন, ‘‘আমরা ওঁদের বলেছি, কোথায় কোথায় অবৈধ মদের ভাটি রয়েছে তা লিখিত ভাবে জানাতে। আর কোটশিলার যে দোকানের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ছিল সেটি তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’’ জেলা আবগারি দফতরের আধিকারিক সিদ্ধার্থ সেন বলেন, ‘‘জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারে মদের দোকান বন্ধ রাখা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ আছে। দোকানদারেরাও জানেন যে, তাঁদের দোকান বন্ধ করতে হবে। আমরা দোকান বন্ধ করতে বলেওছি।’’ তাঁর আরও দাবি, অবৈধ মদের ঠেক বা ভাটির বিরুদ্ধে নিয়মিত জেলা জুড়ে আবগারি দফতরের অভিযান চলছে। মঙ্গলবারও ওই অভিযানে ৬ জনকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি ২০০ লিটার চোলাই ও ৫০৭ লিটার মদ তৈরির উপকরণ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই অভিযান আগামী দিনেও চলবে।