অনাস্থায় হার প্রধানের

তৃণমূলের সমর্থনে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির জয়ী সদস্য। মঙ্গলবার অনাস্থা ভোটে সেই প্রধানকেই অপসারিত করলেন শাসকদলের সদস্যেরা। মঙ্গলবার মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। গদি হারিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান অবশ্য এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:৩৩
Share:

তৃণমূলের সমর্থনে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির জয়ী সদস্য। মঙ্গলবার অনাস্থা ভোটে সেই প্রধানকেই অপসারিত করলেন শাসকদলের সদস্যেরা। মঙ্গলবার মাড়গ্রাম থানার বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের ঘটনা। গদি হারিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান অবশ্য এর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করেছেন।

Advertisement

এ দিন সংশ্লিষ্ট রামপুরহাট ২ বিডিও সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আজ অনাস্থা ভোটে ১৯ সদস্যের মধ্যে ১১ জন উপস্থিত ছিলেন। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে প্রধান অপসারিত হয়েছেন।” পরবর্তী প্রধান নির্বাচনের দিন পরে ঠিক করা হবে বলে বিডিও জানিয়েছেন।

পঞ্চায়েত ও প্রশাসন সূত্রের খবর, গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলে ১৯ আসনের বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতে দলগত অবস্থান ছিল তৃণমূল ৬, সিপিএম ৩, কংগ্রেস ২, ফরওয়ার্ড ব্লক ২, বিজেপি ২, সমাজবাদী দল ২, আরসিপিআই ১ এবং নির্দল ১। তৃণমূলের ৬, কংগ্রেসের ২, সমাজবাদী দলের ২ এবং বিজেপি-র ২ জনের সমর্থনে প্রধান হন সমাজবাদী দলের সোমা প্রমাণিক। উপপ্রধান হন কংগ্রেসের মিনতি প্রামাণিক। পরে কংগ্রেসের ২ জন, ফরওয়ার্ড ব্লক দলের ১ জন এবং একমাত্র নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। কিন্তু দেড় বছরের মধ্যেই গত ১৬ ডিসেম্বর তৃণমূলের ৬ জন, ফরওয়ার্ড ব্লকের ১ জন, কংগ্রেসের ২ জন, নির্দল ১ এবং আরসিপিআই-র ১ জন সদস্য নিয়ে মোট এগারো জন সদস্য সমাজবাদী পার্টির প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। তৃণমূল সদস্য নন্দদুলাল দাসের দাবি, “প্রধানের কাজকর্মে বীতশ্রদ্ধ হয়ে আমরা অনাস্থা এনেছিলাম। এ দিন অনাস্থা ভোটে ১১ জন সদস্যই উপস্থিত হয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রমাণ করেছেন।”

Advertisement

অন্য দিকে, বিষ্ণুপুর পঞ্চায়েতের অপসারিত প্রধান সমাজবাদী দলের সোমা প্রামাণিক এবং দলের আরও এক জয়ী সদস্য কিশোরচন্দ্র দাস এ ব্যাপারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দুষছেন। তাঁরা বলেন, “তৃণমূলের ছয় সদস্যকে বিশ্বাস করে দলের এক জনকে প্রধান করা হয়েছিল। পঞ্চায়েতে তৃণমূল সদস্য নন্দদুলাল দাস বৈরাগ্যকেই বেশি কাজ দেওয়া হয়েছে। ওঁর নির্দেশে গত ১৪ নভেম্বর আমরা তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় মিছিলও করেছি। এমনকী, তারাপীঠে আমাদের কর্মী-সমর্থককে মিছিলেও পাঠিয়েছি।” তাঁদের ক্ষোভ, “অথচ এখন নিজেদের ঘ গোছানোর জন্য আজ আমাদের বাদ দিয়ে প্রধানের বিরুদ্ধে ওঁরা অনাস্থা আনলেন। এক কথায় তৃণমূলের নেতাদের বিশ্বাস করে আমাদের ঠকতে হল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন