আড়শার পঞ্চায়েতে আবার গোলমাল

বৈঠকে হাজির না থেকেও বৈঠকের হাজিরায় এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বাক্ষর রয়েছে কী ভাবে, এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার আড়শা ব্লকের পুয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিবকে ঘেরাও করে রাখলেন পঞ্চায়েতের বিরোধী সিপিএম সদস্যেরা। যে পঞ্চায়েত সদস্যাকে নিয়ে সিপিএমের অভিযোগ, তিনি কিছুদিন আগে পর্যন্ত বামফ্রন্টের সঙ্গেই ছিলেন। পুয়াড়া পঞ্চায়েতটিও ছিল বামফ্রন্টের দখলে। মাস দুয়েক আগে বামফ্রন্ট থেকে দুই ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্য শিবির বদলে মহাজোটে যোগ দেন। পঞ্চায়েতের দখল হারায় বামফ্রন্ট। শিবির বদলকারীদের মধ্যে ছিলেন ওই ফব সদস্যাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আড়শা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ০১:১২
Share:

বৈঠকে হাজির না থেকেও বৈঠকের হাজিরায় এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বাক্ষর রয়েছে কী ভাবে, এই প্রশ্ন তুলে শুক্রবার আড়শা ব্লকের পুয়াড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিবকে ঘেরাও করে রাখলেন পঞ্চায়েতের বিরোধী সিপিএম সদস্যেরা। যে পঞ্চায়েত সদস্যাকে নিয়ে সিপিএমের অভিযোগ, তিনি কিছুদিন আগে পর্যন্ত বামফ্রন্টের সঙ্গেই ছিলেন। পুয়াড়া পঞ্চায়েতটিও ছিল বামফ্রন্টের দখলে। মাস দুয়েক আগে বামফ্রন্ট থেকে দুই ফরওয়ার্ড ব্লক সদস্য শিবির বদলে মহাজোটে যোগ দেন। পঞ্চায়েতের দখল হারায় বামফ্রন্ট। শিবির বদলকারীদের মধ্যে ছিলেন ওই ফব সদস্যাও।

Advertisement

পুয়াড়া অঞ্চলের সিপিএমের আড়শা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ভানু মণ্ডল বা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মনোহর সিংহ সর্দারের অভিযোগ, “ফরওয়ার্ড ব্লকের ওই সদস্যা পরপর চারটি বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। এ দিন গ্রাম পঞ্চায়েতে আমাদের বৈঠক ছিল। সেখানে যোগ দিতে এসে বৈঠকের খাতায় দেখি সেই সদস্যার স্বাক্ষর রয়েছে। এটা কী ভাবে সম্ভব, বুঝতে পারছি না। পরপর তিনটি বৈঠকে না থাকলে তো তাঁর সদস্যপদই খারিজ হয়ে যাওয়ার কথা! তবু উনি এখনও সদস্য রয়েছেন। আমরা এ দিন গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিবের কাছে সেই বৈঠকের কার্যবিবরণীর পৃষ্ঠার প্রতিলিপি চেয়েছিলাম, যেখানে ওই সদস্যার সই রয়েছে। কিন্তু সচিব তা আমাদের দিতে চাইছেন না। ওই প্রতিলিপি পেলে আমরা বিডিওর কাছে অভিযোগ করব।” পঞ্চায়েত সচিব আনন্দমোহন দাস বলেন, “বৈঠকের সময় কে কে উপস্থিত রয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। সদস্যদের খাতা দিয়ে দিই। তাঁরা সই করেন।” প্রতিলিপি চাওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত প্রধান যা বলবেন, তাই করা হবে।” পঞ্চায়েত প্রধান রাসমণি মাঝির অবশ্য দাবি, ওই ফব সদস্যা বৈঠকে এসেছিলেন। আড়শার বিডিও মাধব বিসাই বলেন, “এ বিষয়ে আমার কাছে এখনও কেউ অভিযোগ করেননি। করলে বিধিতে কী রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন