মায়ের আদর। রামপুরহাটের বাড়িতে রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম ও জেলার সেরা এণাক্ষী বিশ্বাস। ছবি: অনির্বাণ সেন।
ফল ভাল হবে জানা ছিল। তবে মেধা তালিকায় জায়গা হবে আশা করেনি ওরা দুজনেই। প্রথমজন সিউড়ির বীরভূম জেলা স্কুলের ছাত্র সুচিস্মিত ভট্টাচার্য, অপরজন রামপুরহাট গার্লস স্কুলের ছাত্রী এণাক্ষী বিশ্বাস। বৃহস্পতিবার সাকালে ফল প্রকাশের পরে দেখা যায় দু’জনেই মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছে। যুগ্ম ভাবে রাজ্যের মেধা তালিকায় নবম এবং জেলার হিসেবে প্রথম। দু-জনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪। স্বাভাবিক ভাবে খবরটা পাওয়ার পর আপ্লুত পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সকলেই। দু’জনকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলার সেরা সুচিস্মিত ভট্টাচার্য।
সিউড়ির সোনাতোড় পাড়া সরকারি আবাসনে বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে সুচিস্মিত। বাবা বিশ্বজিত্ ভট্টাচার্য জেলা পরিকল্পনা দফতরের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র। মা সুমিতাদেবী গৃহবধূ। বিশ্বজিত্বাবু বলেন, “এত আনন্দ কখনও পাইনি। যা কৃতিত্ব সবই ছেলের। আমরা শুধু পাশে থেকেছি। সব বিষয়ে টিউশন ছিল।” পড়াশোনার পাশাপাশি ফুটবল সুচিস্মিতের অত্যন্ত প্রিয় খেলা। প্রিয় ফুটবল তারকা মেসি। তার কথায়, “সামনে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার জন্য পরিকল্পনা করেছি। ইঞ্জিনিয়র হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে।” অন্য দিকে রামপুরহাট শিবতলাপাড়ার বাসিন্দা এণাক্ষীর বাবা গৌতমবাবু চকমঙ্গলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী এবং মা স্বপ্নাদেবী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। বড়দিদি কোয়েল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ করছেন বাংলা নিয়ে। এণাক্ষীর সাফল্যে খুশি পরিবারের সকলেই। মা স্বপ্নাদেবী বললেন, “কোনও দিন স্কুলে দ্বিতীয় হয়নি ছোট মেয়ে। আজ যা আনন্দ হচ্ছে তা প্রকাশ করার ভাষা নেই। তিনটি বিষয়ে টিউশন নিয়েছিল।” ভোরে উঠে বা রাত জেগে পাড়াশোনা করা পছন্দ নয় এণাক্ষীর। পড়াশোনার বাইরে ছবি আঁকা, গান ও নাচে আগ্রহ আছে তার। পছন্দ সিনেমা ও ক্রিকেট খেলা দেখা। প্রিয় ক্রিকেটার সচিন ও কোহলি। তার কথায়, “চিকিত্সক হওয়ার ইচ্ছে আছে। তা না হলে রসায়ন নিয়ে উচ্চশিক্ষা করব।”