কাজ না পেয়ে এক দিনের প্রতীকী ধর্মঘট করলেন এফসিআই-এর আদ্রা গুদামের ঠিকা শ্রমিকেরা। সোমবার সিটুর উদ্যোগে হওয়া এই আন্দোলনের জেরে আধিকারিক ও অন্য কর্মীরা ভিতরে ঢুকতে পারেননি। এফসিআই মজদুর ইউনিয়নের কার্যকরী সভাপতি প্রদীপ রায়ের দাবি, গত ১০ মার্চ তাঁরা বাঁকুড়ায় এফসিআই-এর এরিয়া ম্যানেজারর কাছে, শ্রমিকদের কাজ দেওয়ার ব্যবস্থা না করলে প্রতীকী ধর্মঘট করার কথা জানিয়েছিলেন।
দ্রুত কাজের ব্যবস্থা না করা হলে, অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই গুদামে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। এই কেন্দ্রীয় সংস্থার গুদামে মজুদ খাদ্যশষ্যের বস্তা নামানো -ওঠানোর কাজ করেন স্থানীয় শ্রমিকেরা। আগে ঠিকাদারি প্রথার মাধ্যমে এই কাজ করা হলেও, গত তিন বছর ধরে ঠিকাদারি প্রথার বদলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের দায়িত্ব রয়েছে এফসিআই কর্তৃপক্ষর হাতে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মজুরি দেওয়া হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, গত ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁরা কাজ পাচ্ছেন না। এফসিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠিকাদারি প্রথা বন্ধ হওয়ার পরে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ‘নো ওয়ার্ক নো পে’-র ভিত্তিতে (কাজ করলে মজুরি, না করলে মজুরি নেই) এবং গত তিন মাস ধরে এই গুদামে খাদ্যশস্য না আসার কারণে শ্রমিকদের কাজ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবে তাঁরা মজুরিও পাচ্ছেন না। এ প্রসঙ্গে প্রদীপবাবুর দাবি, “স্থানীয় তিনশো শ্রমিকের পরিবার এই গুদামের উপরে নির্ভরশীল। ফলে আমরা কর্তৃপক্ষর কাছে দাবি করেছি, মাসে ন্যূনতম ২৬ দিন কাজের ব্যবস্থা করা ছাড়াও কাজ না দিতে পারলে মজুরির অর্ধেক শ্রমিকদের দিতে হবে।” তবে এই দাবি ও ধর্মঘট নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি এফসিআই-এর আধিকারিকেরা। বাঁকুড়ার এরিয়া ম্যানেজারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আদ্রার ওই গুদামে কিছু সংস্কার ও নির্মাণ কাজ করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। তাই সেখানে খাদ্যশস্য পাঠানো হচ্ছে না।