কর্মতীর্থ। —নিজস্ব চিত্র
আগে নাম ছিল গ্রামীণ হাট। বর্তমানে তার রূপ দেওয়া হয়েছে ‘কর্মতীর্থ’। জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর জেলাপরিষদের সহযোগিতায় বছর চারেক আগে তারাপীঠে ৩৩টি ঘর তৈরি করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল এলাকার এবং জেলার স্বনির্ভরগুলির উপাদিত দ্রব্য বিকিকিনি করার ব্যবস্থা করা। শুক্রবার সেই ঘরগুলির চাবি স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির মধ্যে ক্লাস্টার করে বিলি করল বর্তমান জেলাপরিষদ। আর এই নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে তারাপীঠে। জেলাপরিষদের প্রাক্তন সহসভাধিপতি নিতাই মালের অভিযোগ, বাম আমলে এক বার উদ্বোধন হওয়া প্রকল্পকে নতুন করে উদ্বোধন করে উন্নয়নের ঢাক পেটাতে চাইছে সরকার। অন্য দিকে, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নতুন কোনও প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়নি। তারাপীঠে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি করার জন্য ঘরের চাবি সরকারি বিধি মেনে জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মধ্যে বিলি করা হয়েছে।” আশিসবাবুর দাবি, “আসলে ওঁনারা ঘরগুলি বিলি করার জন্য রাজনীতি করছিলেন। আমরা নতুন ভাবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত কর্মতীর্থ প্রকল্পের মাধ্যমে এর সার্থক দিতে পেরেছি।” রামপুরহাট ২ ব্লকের বিডিও সৌমনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, নির্মিত ৩৩টি ঘরের মধ্যে রামপুরহাট ২ পঞ্চায়েত সমিতির ১০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঘর বিলি করা হয়েছে। বাকি ঘরগুলির চাবি জেলার আরও ১৮টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বাকি ৫টি ঘরের মধ্যে দু’টি শৌচালয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে। তিনটি ঘর অফিসের কাজে ব্যবহৃত হবে। বিডিও বলেন, “ঘরগুলিলেোর ব্যবস্থা করা হবে এবং ওই জায়গায় পার্কিং করার জন্য জেলাশাষকের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রিই যাতে কর্মতীর্থে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত পণ্য বা সামগ্রী বিক্রি করতে পারে তার চেষ্টা চলছে।” তবে তারাপীঠে দীর্ঘদিন থেকে তৈরি হয়ে থাকা জেলাপরিষদের বেশ কিছু ঘর এখনও বিলি না হওয়ার জন্য ঘরগুলি ভেঙে পড়ছে। ওই ঘরগুলির সামনে এখন স্তুপীকৃত জঞ্জাল জমে রয়েছে। বছর দশেক ধরে বিলি-বন্টন নিয়ে নানা টালবাহানার জন্য ঘরগুলি কার্যত অকেজো হয়ে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাষক (জেলাপরিষদ) বিধান রায় বলেন, “নতুন রেট করে লিজ দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। খশীঘ্রই কার্যকর করা হবে।”