চাকা খুলে উল্টে গেল বাস, মৃত ৩

চলন্ত অবস্থায় চাকা খুলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ঢালু জমিতে উল্টে পড়ল একটি বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তিন যাত্রীর। আহত হলেন ১৯ জন। শুক্রবার বিকেলে পথদুর্ঘটনাটি ঘটে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তায়, ঝালদা থানার জারগো মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম নিমাই মুখোপাধ্যায় (৪৫), বিষ্ণু গোপ (২৯) ও কিরীটী মাহাতো (৪২)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা ও হিড়বাঁধ শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৪ ০০:৫৩
Share:

রাস্তার ধারে জমিতে উল্টে রয়েছে বাস। —নিজস্ব চিত্র।

চলন্ত অবস্থায় চাকা খুলে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ঢালু জমিতে উল্টে পড়ল একটি বাস। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তিন যাত্রীর। আহত হলেন ১৯ জন। শুক্রবার বিকেলে পথদুর্ঘটনাটি ঘটে ঝালদা-বাঘমুণ্ডি রাস্তায়, ঝালদা থানার জারগো মোড়ের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম নিমাই মুখোপাধ্যায় (৪৫), বিষ্ণু গোপ (২৯) ও কিরীটী মাহাতো (৪২)। তাঁরা সবাই বাঘমুণ্ডি থানার বাসিন্দা। নিমাইবাবু বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন। তিনি বাঘমুণ্ডিরই বাসিন্দা। অন্য দু’জন রামডি ও গোবিন্দডি গ্রামের বাসিন্দা। এ দিন হিড়বাঁধ থানার পাথরডি প্রাথমিক স্কুলের সামনে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক পুলিশকর্মীর। আহত হ দুই বৃদ্ধ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেলের দিকে বাসটি যাত্রী নিয়ে বাঘমুণ্ডি থেকে ঝালদার দিকে যাচ্ছিল। পথে জারগো মোড়ের ঠিক আগে বাসের বাঁদিকের সামনের চাকা আচমকা খুলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁদিকে চাষের জমিতে পাক খেতে খেতে গড়িয়ে পড়ে। বাসটি উল্টে গেলে যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। পুলিশও আসে। ঘটনাস্থলেই মারা যান কন্ডাক্টর নিমাই মুখোপাধ্যায় ও বিষ্ণু গোপ।.

জেলা সদর থেকে ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) কুন্তল বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রীদের মধ্যে ২০ জনকে প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিরীটী মাহাতোকে মৃত বলে জানানো হয়। বাকিদের পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাঁকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিষ্ণুবাবু বাসের ছাদে ছিলেন। বাস উল্টে যাওয়ায় তিনি বাসের নীচে চাপা পড়ে যান। মাটি খোঁড়ার যন্ত্র এনে বাস তুলে মাটি খুঁড়ে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, চলন্ত বাসের চাকা কেন খুলে গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাস্তার ডান দিকে একটি পুকুর রয়েছে। বাসটি ডানদিকে উল্টে পড়লে হতাহাতের সংখ্যা বাড়তে পারত। এক যাত্রী বলেন, “বাঁ দিকে পড়ায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে বাসটি।”

Advertisement

এ দিনই দুপুরে বাঁকুড়ার হিড়বাঁধ থানার পাথরডি প্রাথমিক স্কুলের সামনে, বাঁকুড়া-খাতড়া রাস্তায় একটি ট্রাক্টর তিন জনকে ধাক্কা মারে। মারা যান আসানসোলের পুলিশ কর্মী লক্ষ্মীকান্ত মান্ডি (৪৫)। তাঁর বাড়ি হিড়বাঁধের বেনাগেড়িয়া গ্রামে। তিনি রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল ছিলেন। আহত বিশ্বনাথ হাঁসদা ও মদন মান্ডির বাড়ি ওই গ্রামেই। তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ খাতড়া থেকে মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন লক্ষীকান্ত। তাঁর সঙ্গে বাইকে ছিলেন বিশ্বনাথ হাঁসদা ও মদন মান্ডি। পাথরডি প্রাথমিক স্কুলের সামনে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাক্টর তাঁদের মোটরবাইককে ধাক্কা মারে। তিনজনেই মোটরবাইক থেকে ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় লক্ষ্মীকান্তবাবুর। স্থানীয় বাসিন্দারা ও পুলিশ আহতদের উদ্ধার করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন