চাকরির টোপ দিয়ে প্রতারণা, ধৃত দুই

চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে দুই সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকেলে আমোদপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই ব্যক্তির একজন ময়ূরেশ্বর থানার ষাটপলসা হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কৃষ্ণরাম ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, বহরমপুর থেকে ওই রাত্রেই গ্রেফতার করা হয় অবসর প্রাপ্ত জেল কর্মী মনোজ চক্রবর্তীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৫ ০২:৪৮
Share:

চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকার যুবক-যুবতীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে দুই সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার বিকেলে আমোদপুরের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, এই দুই ব্যক্তির একজন ময়ূরেশ্বর থানার ষাটপলসা হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কৃষ্ণরাম ভট্টাচার্য। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, বহরমপুর থেকে ওই রাত্রেই গ্রেফতার করা হয় অবসর প্রাপ্ত জেল কর্মী মনোজ চক্রবর্তীকে।

Advertisement

পুলিশের দাবি, জেরায় দুজনেই স্বীকার করেছেন যে, তাঁরা দীর্ঘদিন থেকে এই কাজ করছেন। এবং অনেককে প্রতারণা করেছেন। ধৃতদের বৃহস্পতিবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে, বিচারক দুজনকেই পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, সাঁইথিয়া থানার আমোদপুরের কুড়ুমসা গ্রামের স্নাতক শ্রীকুমার চট্টপাধ্যায় অনেক দিন ধরেই চাকরি খুঁজছিলেন। তাঁকে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করে দেবেন, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিযুক্তরা। ঠিক হয়েছিল, আগে ৪ লক্ষ টাকা দিতে হবে। কাজ হয়ে যাওয়ার পর আরও ২ লক্ষ। বুধবার সেই অগ্রিম নিতে এসেই ধরা পড়ে যান কৃষ্ণরাম।

শ্রীকুমারবাবু বলেন, “অনেকদিন থেকে হন্য হয়ে একটা চাকরির চেষ্টা করছিলাম। আমার জেঠুও এ ব্যাপারে খুবই ভাবিত। দিন কয়েক আগে বোলপুরে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সেখানেই ওই প্রতারকদের সঙ্গে আলাপ হয়।” শ্রীকুমারবাবুর জেঠু দেবদাস চট্টোপাধ্যায় জানান, ডাক্তার গিয়ে আর পাঁচজনের সঙ্গে যেমন আলাপ হয় তেমনি কৃষ্ণরামবাবুর সঙ্গেও ডাক্তারবাবুর চেম্বারে তাঁর আলাপ হয়েছিল। তার দু’দিন পর শনিবার কৃষ্ণরাম ফোন করে বলেন, ‘কেউ চাকরি প্রার্থী থাকে তো বলবেন, চাকরি হয়ে যাবে। তবে টাকা লাগবে প্রাইমারি ৬ লক্ষ, এসএসসি ৬ লক্ষ, ফুডে ৫ লক্ষ।’

Advertisement

দেবদাসবাবু এরপরই প্রতারকের জালে পা দেন। তিনি কৃষ্ণরামকে জানান তাঁর ভাইপোর কথা। কৃষ্ণরাম সোমবার টাকা তৈরি রাখার কথা বলেন। দেবদাসবাবুর দাবি, এতে কৃষ্ণরাম সোমবার তাঁর আমোদপুরের বাড়িতে টাকা নিতে আসেন। তখন তাঁর কথায় সন্দেহ হওয়ায় তিনি সময় চেয়ে নেন। কৃষ্ণরাম শ্রীকুমারবাবুদের নিজের ঠিকানা বোলপুরের গোয়ালপাড়া বলেছিল। শ্রীকুমারবাবুরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর প্রতারণার কথা। খবর যায় পুলিশের কাছেও। টাকা নিতে এসে পুলিশের জালে ধরা পড়েন কৃষ্ণরাম। পুলিশ জানায়, দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওঁরা বহু বেকার ছেলে মেয়েকে চাকরির লোভ দেখিয়ে ৪-৫ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে। এস পি মুকেশ কুমার বলেন, “এই চক্রে আরও কেউ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন