জমি জট কাটানোর উদ্যোগ

শিলান্যাস হয়েছিল ২০১৩-র ১৬ মার্চ। কিন্তু জমিজটে কাজ আটকে ছিল সোনামুখীর শালি নদীর সেতুর। অবশেষে সেই জট মুক্তিতে উদ্যোগী হল বাঁকুড়া জেলা পরিষদ। বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) শ্যামাশিস রায়কে সঙ্গে নিয়ে সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী সেতু সংলগ্ন জমি পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন পূর্ত দফতরের (সড়ক) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণপদ মাহাতো ও বিডিও (সোনামুখী) বিশ্বজিত্‌ ভট্টাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনামুখী শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪
Share:

শিলান্যাস হয়েছিল ২০১৩-র ১৬ মার্চ। কিন্তু জমিজটে কাজ আটকে ছিল সোনামুখীর শালি নদীর সেতুর। অবশেষে সেই জট মুক্তিতে উদ্যোগী হল বাঁকুড়া জেলা পরিষদ।

Advertisement

বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলাপরিষদ) শ্যামাশিস রায়কে সঙ্গে নিয়ে সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী সেতু সংলগ্ন জমি পরিদর্শনে যান। সঙ্গে ছিলেন পূর্ত দফতরের (সড়ক) অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণপদ মাহাতো ও বিডিও (সোনামুখী) বিশ্বজিত্‌ ভট্টাচার্য। পরে সভাধিপতি বলেন, “সেতু সংলগ্ন জমি নিয়ে একটা জট তৈরি হয়েছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেই জমি কিনে নিয়ে পূর্ত সড়ক দফতরের হাতে তুলে দেব। বিএলআরও-কে জমির মাপ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একই পন্থায় রাইপুরের ভৈরববাঁকি সেতুর জমি সমস্যা মেটানো গিয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সোনামুখী-দুর্গাপুর রাজ্য সড়কের উপর ওই সেতু। রাস্তাটির দেখাশোনার দায়িত্ব পূর্ত সড়ক বিভাগের। ওই দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বলেন, “শিলান্যাসের পর সেতুটি নিয়ে টেন্ডার ডাকাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জমিজটের কারণে সমস্যা হচ্ছিল। তা মিটলেই শীঘ্র কাজ শুরু হয়ে যাবে।” সোনামুখীর বিডিও জানান, এ দিন জমি কেনার কথা ঘোষণা করেছেন সভাধিপতি। আগামী ২ ডিসেম্বর এই সংক্রান্ত একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। তিনি আশাবাদী ওই বৈঠকে সমস্যা মিটে যাবে।

Advertisement

জেলা পরিষদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দা সুভাষ বিশ্বাস, অনুপম বন্দ্যোপাধ্যায়রা বলেন, “শালি নদীর নিচু সেতু জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। হেঁটে পার হতে গিয়ে কতজন ভেসে মারা গিয়েছে। তাই উঁচু সেতুর দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ছিল। জেলাপরিষদ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসায় আমরা খুশি।”

যদিও সেতু তৈরি নিয়ে তৃণমূল সরকারের এটা নাটক বলে বর্ণনা করে সিপিএমের সোনামুখী জোনাল সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্যের দাবি, “এই সদিচ্ছা থাকলে জেলা পরিষদ আগে এগিয়ে আসেনি কেন? পুরভোটের আগে এটাকে নাটক বলেই মনে করছি আমরা।” একই মন্তব্য বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষেরও। অরূপবাবুর পাল্টা দাবি, “সিপিএম তো এতদিন করেনি। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের সরকারই ওই সেতু করতে চলেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন