তৃণমূলের মিছিলে অবরুদ্ধ বোলপুর

যানজটে থমকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বোলপুর শহরে নতুন নয়। তবে সে জট দশ-পনের মিনিটে খুলেও যায়। মঙ্গলবার, কয়েক হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের মহামিছিলের কার্যত কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে রইল শহর! চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার মানুষজনকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৪ ০০:২০
Share:

বোলপুরের চিত্রামোড়ে যানজটে ফেঁসে যানবাহন। —নিজস্ব চিত্র

যানজটে থমকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বোলপুর শহরে নতুন নয়। তবে সে জট দশ-পনের মিনিটে খুলেও যায়। মঙ্গলবার, কয়েক হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকের মহামিছিলের কার্যত কয়েক ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে রইল শহর! চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয় বোলপুর-শান্তিনিকেতন এলাকার মানুষজনকে।

Advertisement

রাজ্যের অন্য জায়গার মতো, বীরভূমেও দলে দলে তৃণণূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িকি পড়েছে। পাড়ুইকে বিজেপি পাখির চোখ করে জেলার বিভিন্ন এলাকায় সংগঠন বাড়ানোর কাজে উঠে পড়ে লেগেছে। তাকে প্রতিরোধ করতেই মাঠে নেমেছেন খোদ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন বোলপুর মহকুমায় তৃণমূলের মহামিছিলের আয়োজন করেছিল দলের জেলা নেতৃত্ব। সেই মিছিলের জেরেই বিকেল সাড়ে তিনটে থেকে যানজটে নাজেহাল হতে হল বোলপুরের বাসিন্দাদের। শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসা পর্যটকেরাও নাজেহাল হন মিছিলের জেরে।

এদিন বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ বোলপুরের ডাক বাংলো মাঠ থেকে চিত্রা মোড় হয়ে চৌরাস্তা এবং শ্রীনিকেতন রাস্তা ধরে ফের ডাক বাংলোতে হাজির হয় ওই মহামিছিল। কিছুটা পথ মিছিলে অন্যান্যদের সঙ্গে পা মেলান জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে ফের মাঠে হাজির হন। মাঠে উপস্থিত হাজারো কর্মী সমর্থকদের সামনে বিধায়ক গদাধর হাজরা, বিধায়ক মনিরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও মুস্তাক হোসেনরা বক্তব্য রাখেন।

Advertisement

এ দিন পথসভায় মুস্তাক হোসেন বিজেপিকে কটাক্ষ ও আক্রমণ করে এলাকায় সন্ত্রাস জিয়িয়ে রাখার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেন। বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চক্রান্ত করে অভিযোগে নাম দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের তালিকায় নাম দিয়ে দিলে কি আসামী হয়? দুধকুমারবাবু জেনে রাখুন এর পর থেকে সব ঘটনাতে আপনার নামে অভিযোগ হবে।”

তৃণমূল নেতা মুস্তাক হোসেনের হুমকি প্রসঙ্গে, বিজেপির জেলা সভাপতি দুধ কুমার বলেন, “আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ থানায় দেওয়া কি বাকি রেখেছে তৃণমূল? বেশী বলছি না, রাজনগরের একটা উদাহরণই যথেষ্ট। পুলিশ ও প্রশাসনের একটা অংশকে কাজে লাগিয়ে এই সব করছে তৃণমূল। মিথ্যা মামলা করলে জেলে পুড়বে। আমরা জেল খাটবো আর কি করা যাবে?”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন