দুই সভা ঘিরে বিতর্ক পুরুলিয়ায়

সাংগঠনিক অনুমতি নেই। কিন্তু কর্মীদের দাবিগুলি তুলে ধরতে রবিবার শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে সম্মেলন করলেন জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মী সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা শাখার সদস্যরা। এ দিনই পুরুলিয়ার নবনিবার্চিত সাংসদকে সংবর্ধনা জানাতে অনুষ্ঠান করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে প্রথম সভার পাল্টা হিসেবে দেখছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে ডানপন্থী কর্মচারী সংগঠনগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ শুরু হয় তৃণমূলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৪ ০১:৩৬
Share:

(বাঁ দিকে) হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে চলছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মী সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা শাখার সভা। (ডান দিকে) পুরুলিয়া জেলা পরিষদে রাজ্য সরকারি সর্মচারী ফেডারেশনের অনুষ্ঠান। —নিজস্ব চিত্র

সাংগঠনিক অনুমতি নেই। কিন্তু কর্মীদের দাবিগুলি তুলে ধরতে রবিবার শহরের হরিপদ সাহিত্য মন্দিরে সম্মেলন করলেন জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মী সংগঠনের পুরুলিয়া জেলা শাখার সদস্যরা। এ দিনই পুরুলিয়ার নবনিবার্চিত সাংসদকে সংবর্ধনা জানাতে অনুষ্ঠান করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে প্রথম সভার পাল্টা হিসেবে দেখছেন অনেকে। জানা গিয়েছে, রাজ্যে ডানপন্থী কর্মচারী সংগঠনগুলিকে এক ছাতার তলায় আনার উদ্যোগ শুরু হয় তৃণমূলের। সংগঠনের নাম হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। বিধায়ক মৃগেন মাইতিকে সংগঠনের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সংগঠনের উপদেষ্টা করা হয়। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মী সংগঠনের উপদেষ্টা অর্ধেন্দু ঘোষ বলেন, “সরকারি কর্মচারী সংগঠনের রাজ্য কোর কমিটির সদস্য আমি। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে সংগঠনের কোনও সম্মেলন হয়নি। কিন্তু কর্মীদের ভাতা, মৃত বা অক্ষম কর্মীর পোষ্যের চাকরি, অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণ-সহ বিভিন্ন দাবি রয়েছে। সেই দাবিগুলি তুলে ধরতে হবে। তাই আমরা এ দিন শুধু ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মী সংগঠনের সদস্যরাই সম্মেলনে যোগ দিয়েছি।”

Advertisement

রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সংযোজক বিধানচন্দ্র দাস বলেন, “আমাদের সংগঠনের এখন কোনও সম্মেলন করার অনুমতি নেই।” কিন্তু ভূমি ও ভূমি সংস্কার কর্মী সংগঠনের জেলা সম্মেলনে ফেডারেশনের রাজ্য কোর কমিটির এক সদস্য রয়েছেন? বিধানবাবু বলেন, “পুরুলিয়ায় আমিই সংগঠনের কাজকর্ম দেখছি। গত ফেব্রুয়ারিতে পুরুলিয়ায় যখন কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র এসেছিলেন, অর্ধেন্দুবাবু তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌঁছতেই তাঁকে ফেডারেশন থেকে বহিষ্কার করা হয়।” অর্ধেন্দুবাবুর জবাব, “বাম রাজত্ব থেকে ডানপন্থী সংগঠন করছি। যখন ফেডারেশন তৈরি হল তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আমার নাম ঘোষণা করেছেন। তা ছাড়া সোমেনদা আমার পরিচিত। জেলায় এসে আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন। তাই সৌজন্যের খাতিরে দেখা করেছি। তা ছাড়া বহিষ্কারের চিঠি আমি তো পাইনি।” তবে দু’টি কর্মসূচিকে কারও পাল্টা হিসেবে দেখতে রাজি হননি বিধানবাবু। তিনি বলেন, “পাল্টা মোটেই নয়। আমরা অনেক আগেই এই কর্মসূচি ঠিক করেছিলাম।” অর্ধেন্দুবাবুদের সম্মেলন প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো বলেন, “এই সম্মেলনের বিষয়ে আমার কাছে কোনও খবর নেই। খোঁজ নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন