রবীন্দ্রভবনের সাসপেন্ড থাকা প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শেষমেশ বরখাস্ত করারই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী। মঙ্গলবার কর্ম সমিতির বৈঠকে সর্ব সম্মত ভাবে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর মিডিয়া ইন্টারফেস কমিটির চেয়ারপার্সন সবুজকলি সেন। বিশ্বভারতীর উপাচার্য রজতকান্ত রায়ের আমলে নীলাঞ্জনবাবু রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। অনুমতি ছাড়াই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ছবির কপি রবীন্দ্রভবন থেকে বাইরে বের করা, একটি দরপত্রেই রবীন্দ্রভবনের আসবাব বিক্রি করা, শৃঙ্খলাভঙ্গ-সহ একাধিক অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
ওই সব অভিযোগের জেরে ২০১২ সালের ৮ মার্চ প্রথমে বিশ্বভারতী তাঁকে ‘শো-কজ’ করে। পরে তাঁকে পদ থেকে ‘সাসপেন্ড’ও করা হয়। তদন্তের জন্য বিশ্বভারতী হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অলোক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গড়ে।
বিশ্বভারতীর একটি সূত্রের দাবি, গত ২০ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিশনের সুপারিশে কর্ম সমিতি নীলাঞ্জনবাবুকে বরখাস্ত করার বিষয়ে একমত হয়। কেন ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে পরে তাঁকে বিশ্বভারতী চিঠিও পাঠায়। উত্তরে অবশ্য বিশ্বভারতীর বর্তমান কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হননি।
সবুজকলিদেবী বলেন, “তদন্ত কমিশন এবং বিশ্বভারতীর কর্ম সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চরম শাস্তি হিসেবে রবীন্দ্রভবনের প্রাধিকারিক নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” সন্ধ্যায় কলকাতা থেকে ফোনে নীলাঞ্জনবাবু যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওই তদন্ত কমিশন অস্বচ্ছ।” ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।