এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে আলোচনায় ডেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের একাংশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ইন্দাস থানা এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে প্রহৃত ওই প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে ইন্দাস ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে। প্রধান শিক্ষকের পরিবার অবশ্য শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর পরিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশকুমার বলেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
তৃণমূল পরিচালিত ওই স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক কুন্তল মণ্ডল বলেন, “নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর দাদু সোমবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেন দিন কয়েক আগে প্রধান শিক্ষক তাঁর নাতনিকে স্কুলের মধ্যে চা করতে ডাকেন। অফিস ঘর ফাঁকা দেখে প্রধান শিক্ষক তাঁর নাতনির শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ।” তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য মঙ্গলবার দুপুরে স্কুলে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বৈঠক চলাকালীন স্থানীয় কিছু বাসিন্দা সেখানে ঢুকে পড়ে প্রধান শিক্ষককে টানা হ্যাচড়া করে যথেচ্ছ কিল চড় ঘুষি মারে। পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।”
ওই ছাত্রীর দাদুর অভিযোগ, “চা করতে ডাকার নাম করে প্রধান শিক্ষক নাতনির শ্লীলতাহানি করে। লজ্জায় নাতনি এতদিন বাড়িতে কাউকে জানায়নি। সোমবার সে বাড়িতে জানানোর পরে আমি স্কুলের সম্পাদককে বিষয়টি জানাই। স্কুলের সম্মানের কথা ভেবে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাইনি।” তাঁর দাবি, প্রধান শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় তাঁরা জড়িত নয়। প্রধান শিক্ষকের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, শ্লীলতাহানির মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাঁকে মারধর করা হয়েছে।”