শাসকদলের স্থানীয় এক নেতার জুলুমবাজিতে বিজেপি কর্মীরা এখনও মাঠের ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠল। সোমবার এই মর্মে রামপুরহাটের মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। তার আগে বিজেপি শহরের কামারপট্টি মোড় থেকে মহকুমাশাসকের প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত একটি মিছিলও করে। এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-র যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, প্রাক্তন জেলা সভাপতি অর্জুন সাহা, দলের জেলা সহ-সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী প্রমুখ।
বিজেপি-র অভিযোগ, রামপুরহাট থানার বসুইপাড়া গ্রামে দলীয় কর্মীরা চরম বিপজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন। দলীয় কর্মীদের জমির মাঠের কাটা ধান ঘরে তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। সেচের অভাবে আলু ও সর্ষে চাষ মাঠেই মারা যাচ্ছে। শুভাশিসবাবুদের দাবি, “গ্রামে পুলিশ ক্যাম্প থাকলেও স্থানীয় তৃণমূল নেতা আকবর আলির হুমকিতে আমাদের কর্মীরা মাঠের কাজে যেতে পারছেন না।” সম্প্রতি বসুইপাড়া গ্রাম পরিদর্শন করে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে এই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন বিজেপি জেলা সভাপতি দুধকুমার মণ্ডল। তাঁদের দাবি, প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখনও সেখানকার বিজেপি কর্মীরা অসহায় ভাবে বসবাস করছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের ওই অভিযুক্ত নেতা তথা আয়াষ পঞ্চায়েতের সদস্য আকবর আলি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, “আমি এক গাঁ থেকে আর এক গাঁয়ে গিয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওঁদের মাঠের ধান তোলার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু কেউ যদি ধান তুলতেই না আসেন, সে ক্ষেত্রে আমি কী করতে পারি।” এ দিন অভিযোগ ওঠার পরেও ওই তৃণমূল নেতার আশ্বাস, “আমি ফের এলাকায় গিয়ে ওঁদের ধান ঘরে তোলার ব্যবস্থা করব। সেচেরও ব্যবস্থা করব। কোনও অসুবিধা হবে না।” এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে দু’পক্ষকেই এগিয়ে আসার আবেদনও তিনি জানিয়েছেন।
এ দিকে, বাইরে থাকার কারণে এ দিন অবশ্য দফতরে ছিলেন না মহকুমাশাসক উমাশঙ্কর এস। তাঁর বদলে বিজেপি-র স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রথীন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি বলেন, “দাবিগুলি নিয়ে এসডিও-র সঙ্গে আলোচনা করা হবে।”