এক বিজেপি সমর্থকের দোকানে ভাঙচুর করে কয়েকজনকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় খাতড়া থানার সুপুরে বিজেপি সমর্থক গৌতম দাসের আসবাবপত্রের দোকানে হামলা চালানো হয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ। তৃণমূলের হামলায় গৌতম দাস, তাঁর দাদা বুলেট দাস এবং পড়শি তাপস দাস আহত হয়েছেন। স্থানীয় মানুষই তাঁদের উদ্ধার করে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে তাঁদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।
মাসখানেক আগে খাতড়া শহরে বিজেপি-র মিছিলে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। তারপরে ফের হামলা হল। খাতড়ার সুপুর গ্রামের বাসিন্দা গৌতম দাস ও বুলেট দাসের সুপুর মোড়ে আসবাব সামগ্রীর দোকান রয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, আগে তাঁরা সিপিএম করতেন। সম্প্রতি সিপিএম ছেড়ে এলাকার অনেকের সঙ্গে তাঁরাও বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। গৌতমবাবুর অভিযোগ, “আগে আমরা সিপিএম করতাম। কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। সেই আক্রোশে শনিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় চার তৃণমূল কর্মী-সহ কয়েকজন আমাদের দোকানে চড়াও হয়। কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই অতর্কিতে হামলা চালিয়ে বেশকিছু আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুঠ করে ওরা। ওরা আমাকে, দাদাকে এবং তাপস দাসকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।”
মাসখানেক আগে খাতড়ার মিছিলে মারধরে আহত হয়েছিলেন বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অভিজিত্ দাস। তাঁর অভিযোগ, “রায়ডি গ্রামে একটি পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তৃণমূলের লোকেদের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণে এলাকার বিজেপি সমর্থকদের জব্দ করতে তৃণমূলের লোকে ওই তিন সমর্থককে মারধর করে তাঁদের দোকানে হামলা চালাল। এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার জন্যই এ সব শুরু করেছে ওরা।” তিনি জানান, আহতদের চিকিত্সা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অভিযোগ জানাতে দেরি হচ্ছে। পরে অভিযোগ জানানো হবে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এ দিন চেষ্টা করেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
খাতড়ার তৃণমূল নেতা তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শ্যামল সরকার দাবি করেছেন, “এমন ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”