বিশ্বভারতীর পদ্মভবনে অস্থায়ী কেন্দ্রীয় দফতরে আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র
বিশ্বভারতীর অধ্যাপকদের নতুন সংগঠন বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের (ভিবিইউএফএ) সভাপতি এবং সম্পাদকের বাড়িতে চড়াও হয়ে অশ্লীল গালিগালাজ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এই মর্মে মঙ্গলবার পুলিশের কাছে বোলপুরের দুই স্কুলশিক্ষক এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে একটি জেনারেল ডায়েরি দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর পড়ুয়াদের উচ্চ শিক্ষায় অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে পড়ুয়াদের পাশাপাশি কর্মী, অধ্যাপক এবং আধিকারিকদের সংগঠন আন্দোলনে নেমেছে। প্রথম দিন থেকেই তাতে যোগ দিয়েছেন অভিভাবকেরাও। এই নিয়ে বিশ্বভারতীতে রীতিমতো অচলাবস্থাও জারি হয়েছে। ভিবিইউএফএ-এর সম্পাদক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের অভিযোগ, “গত রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাঁধগোড়া কালীকৃষ্ণ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভূগোলের শিক্ষক পুলক চক্রবর্তী এবং বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় সাধুর নেতৃত্বে বেশ কিছু ব্যক্তি আমার পশ্চিম গুরুপল্লির বাড়িতে চড়াও হন। ওঁরা আমার উদ্দেশে অশ্লীল গালিগালাজ দেন। এমনকী, প্রাণনাশের হুমকিও দেন।” একই অভিযোগ সংগঠনের সভাপতি মহম্মদ সিরাজুল ইসলামেরও। তাঁর দাবি, “পরের দিনই, অর্থাৎ সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ একই কায়দায় আমার সীমান্তপল্লির বাড়িতেও ওঁরা চড়াও হন।” দু’জনের দাবি, ‘হামলাকারী’রা পড়ুয়াদের অভ্যন্তরীণ সংরক্ষণ নিয়ে গোপন ব্যালটে মতামত সংগ্রহের পদ্ধতি ছেড়ে তাঁদের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এ দিনই দু’জনেই বোলপুর থানায় এই মর্মে একটি জিডি করেন।
অভিযুক্তেরা অবশ্য বিশ্বভারতীর নতুন সংগঠনের দুই কর্তার তোলা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী পুলকবাবু এবং সুপ্রিয়বাবুর পাল্টা দাবি, “সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সুদীপ্তবাবু এবং তাঁদের সংগঠন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছেন। পুলিশ নিরপেক্ষ তদন্ত করলেই আসল বিষয়টি উঠে আসবে।” তাঁদের অভিযোগ, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের ঘনিষ্ঠ হয়ে কিছু পাওয়ার আশায় একাংশের অধ্যাপক খবরের শিরোনামে আসতে চাইছেন। অভিযোগকারী দুই অধ্যাপকও নিজেদের সে দলে ভিড়িয়েছেন বলে পুলকবাবুদের দাবি। সুদীপ্তবাবুরা অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছেন।