ভোটের মুখেও দল বদল জারি

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। তার পরেও দল বদলের ধারা অব্যাহত রয়েছে জেলায়। মঙ্গলবার রামপুরহাটে শতাব্দী রায়ের প্রচার সভা মঞ্চে রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির খরুণ পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য শিবসাধন দাস এবং ওই পঞ্চায়েতের কবিচন্দ্রপুর সংসদ থেকে নির্বাচিত সিপিএম সদস্য নীলকান্ত দাস তৃণমূলে যোগ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০১৪ ০০:২০
Share:

বক্স বাজিয়ে তৃণমূলের সভা।—নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে অনেক দিন আগেই। তার পরেও দল বদলের ধারা অব্যাহত রয়েছে জেলায়। মঙ্গলবার রামপুরহাটে শতাব্দী রায়ের প্রচার সভা মঞ্চে রামপুরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির খরুণ পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য শিবসাধন দাস এবং ওই পঞ্চায়েতের কবিচন্দ্রপুর সংসদ থেকে নির্বাচিত সিপিএম সদস্য নীলকান্ত দাস তৃণমূলে যোগ দেন। এ ছাড়া, নলহাটি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর নুরুন্নেসা বিবি, রামপুরহাট পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা রামপুরহাট ১ ব্লক যুব কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রেকিব, ফরওয়ার্ড ব্লকের যুব লিগের জেলা সম্পাদক রণজয় বর্মন-সহ রামপুরহাট ১ ব্লকের বেশ কিছু কংগ্রেস, সিপিএম, ফব-র সক্রিয় কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের সকলের বক্তব্য, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজে যোগ দিতে এই সিদ্ধান্ত।”

Advertisement

এ দিনের ভোটের প্রচার করতে গিয়ে সাউন্ড বক্স ব্যবহার করা হয়েছে। তবে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সে দিকটা মাথায় রেখে রামপুরহাট গার্লস হাইস্কুলের কাছাকাছি হওয়া সভাস্থলের চারপাশ কাপড় এবং নাইলনের বস্তা দিয়ে ঘেরা ছিল। নীচে থাকা সাউন্ড বক্স সাদা-কালো কাপড় দিয়ে মোড়া ছিল। কিন্তু মাথার উপর কিন্তু চাঁদোয়া বা অন্য কোনও আচ্ছাদন ছিল না। সভামঞ্চ থেকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল আবারও তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এবং বচনে বিরোধীদের কটূক্তি করতে ছাড়েননি। অন্য দিকে, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ কিন্তু দলীয় প্রার্থী শতাব্দী রায়ের সমর্থনে ভাল ভাল কথা বলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। আশিসবাবু বলেন, “পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ঘেরা মঞ্চের মধ্যে সভা করেছি। হাতে হ্যান্ড মাইক ছিল।” শতাব্দী এ দিন নলহাটি ২ ব্লকে প্রচার সেরে রামপুরহাটের কর্মিসভায় যোগ দেন। বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে সাংসদ হিসেবে কাজ করতে না পারার যে অভিযোগ আনছে, তা নিয়ে সাংসদ বলেন, “আসলে ওদের কিছু এখন বলার নেই। তাই ওই সব কথা বলে বেড়াচ্ছে।” নাম উল্লেখ না করে তিনি আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যিনি দাঁড়িয়েছেন, তিনি অঙ্কে হয়তো ৩০ বা ৪০ পেয়ে থাকবেন। কারণ, আমি যে ২২ কোটি টাকা খরচ করেছি সেটা অঙ্কের হিসেব এবং সেটা জেলাশাসকের অফিসে আছে। পারলে দেখে আসতে পারেন।” বহিরাগত প্রসঙ্গে বলেন, “আমি কতবার বীরভূম এসছি এবং বীরভূমের মানুষের পাশে থেকে উন্নয়ন করেছি সেটা দেখুন।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন