রেলের সুরক্ষা বাহিনীর ইনচার্জ এক রেলকর্মীকে ‘মারধর’ করেছেন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামপুরহাট থেকে সাঁইথিয়া পর্যন্ত লাইন মেরামতির কাজে যুক্ত কর্মী ও গেটম্যানরা কাজ বন্ধ রাখলেন। কাজে যোগ না দেওয়া রেলকর্মীরা এ দিন সকাল থেকে রামপুরহাট স্টেশনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। তাঁরা ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি রেলকর্মীদের বিভিন্ন সংগঠকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও বোলপুর থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত লাইন দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী বাস্তুকার। অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরপিএফ-এর রামপুরহাট স্টেশন ইনচার্জ জগমিত সিং চাওলা। এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেছেন।
রেলকর্মচারী শ্রমিক সংগঠনের নেতা হীরেন ঘোষ বলেন, “সোমবার রাত ১১টা ২০ নাগাদ সাঁইথিয়া দিকে যাওয়া একটি ডিজেল ভর্তি মালগাড়ি রামপুরহাট স্টেশন ছাড়িয়ে জেঁদুর গেটের কাছে হঠাত্ দাঁড়িয়ে পড়ে। কিন্তু গাড়িটি দাঁড়ানোর কথা ছিল না। রেল গেটও বন্ধ ছিল। ওই সময় জেঁদুর রেলগেটে কর্মরত ছিলেন কাজল দাস এবং সহযোগী শ্বেতকন্ঠ মণ্ডল। মালগাড়িটি হঠাত্ থেমে যাওয়ায় গেট ম্যান রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। স্টেশন ম্যানেজার আরপিএফ ইনচার্জের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।” তাঁর অভিযোগ, “এরপর আরপিএফ ইনচার্জ এলাকায় পৌঁছে ‘গেটম্যান তেল চুরি কারা করছিল জিজ্ঞাসা করেন। জবাব দিতে না পারায় ওই দুই কর্মীকে মারধর করেন তিনি। কিন্তু গেট ম্যানের দায়িত্ব স্টেশন ম্যানেজারের নির্দেশে গেট খোলা এবং বন্ধ করা। এর বাইরে কোথায় তেল চুরি হচ্ছে তাঁরা কী করে জানবেন।” তাঁর দাবি, “রেলকর্মীরা কাজে যোগ না দেওয়ার ব্যাপারে অনড় ছিলেন। দুপুরে আরপিএফ ইনচার্জ শ্রমিকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়ায় আমরা কাজ করতে রাজি হই।”