মায়ের খোঁজ নেই, শিশু চাইল্ড লাইনে

প্রসূতি ওয়ার্ডে দীর্ঘক্ষণ কাঁদছিল শিশুটি। কিন্তু গোটা হাসপাতাল এবং আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও ওই শিশুরটির মায়ের কোনও হদিশ মেলেনি। শেষমেষ ন’দিনের ওই শিশুকে জেলা চাইল্ড লাইনের সদস্যদের হাতে তুলে দিলেন মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:৩৪
Share:

মা হারা সদ্যোজাত। নিজস্ব চিত্র।

প্রসূতি ওয়ার্ডে দীর্ঘক্ষণ কাঁদছিল শিশুটি। কিন্তু গোটা হাসপাতাল এবং আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও ওই শিশুরটির মায়ের কোনও হদিশ মেলেনি। শেষমেষ ন’দিনের ওই শিশুকে জেলা চাইল্ড লাইনের সদস্যদের হাতে তুলে দিলেন মানবাজার গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

গ্রামীণ হাসপাতালের আশাকর্মী সুমিতা লোহার বলেন, “রবিবার সকালে শয্যায় থাকা শিশুটি কাঁদছিল। আর ঘনঘন হাতের মুঠি মুখে পুরছিল। বুঝতে পারি ওর ক্ষিদে পেয়েছে। কিন্তু গোটা হাসপাতাল চত্বর ঘুরেও শিশুর মায়ের খোঁজ পেলাম না। বাধ্য হয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসককে জানাই।” হাসপাতালের নথি দেখে জানা গিয়েছে, গত ২০ ডিসেম্বর অন্তঃস্বত্তা এক মহিলাকে এখানে ভর্তি করানো হয়েছিল। ২৮ ডিসেম্বর তিনি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। বিএমওএইচ অরুণাভ ঘোষ বলেন, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মানবাজার থানা এলাকার এক ব্যক্তি ওই মহিলাকে বাসস্ট্যান্ডে ঘোরাঘুরি করতে দেখে এখানে ভর্তি করে দেন। মহিলার শারীরিক অবস্থা দেখে প্রসূতি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। শিশুটির ওজন কম থাকায় প্রসবের পর হাসপাতালে আরও কয়েকদিন রেখে দেওয়া হয়েছিল। শিশুটি সুস্থ হওয়ায় বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলেও ওই মহিলা তেমন গা করছিলেন না। রবিবার দুপুরে শুনি শিশুটিকে ফেলে রেখেই উনি চলে গিয়েছেন।”

প্রসূতি ওয়ার্ডে থাকা মানবাজারের ধানাড়া গ্রামের রীতা মণ্ডল বলেন, “রবিবার সকাল থেকে শিশুকে কাঁদতে দেখে স্থির থাকতে পারিনি। আমার বুকের দুধ খাইয়েছি।” এ দিন দুপুরের দিকে পুরুলিয়া চাইল্ড লাইনের দুই সদস্য ধীরেন মাহাতো ও অশোক মাহাতো ওই শিশুকে নিতে এসেছিলেন। শিশুটিকে তাঁদের গাড়িতে তুলে দেওয়ার সময় নার্স, আয়াদের পাশাপাশি অন্য শিশুদের মায়েরা হাজির ছিলেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন