শাবল দিয়ে খুন, বৃদ্ধ ধৃত বান্দোয়ানে

পড়শিকে খুনের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাটি বান্দোয়ানের। রবিবার সবে সন্ধ্যা হয়েছে। বান্দোয়ান থানায় লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরা এক বৃদ্ধ ঢুকলেন। মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে গেঞ্জি ভিজে গেছে। হাতে ধরা মাঝারি মাপের একটা শাবল। কোনও রকমে থানার বারান্দায় উঠে বসে পড়লেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মানবাজার শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৪ ০১:২৬
Share:

পড়শিকে খুনের অভিযোগে এক বৃদ্ধকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। ঘটনাটি বান্দোয়ানের।

Advertisement

রবিবার সবে সন্ধ্যা হয়েছে। বান্দোয়ান থানায় লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরা এক বৃদ্ধ ঢুকলেন। মাথা থেকে রক্ত গড়িয়ে গেঞ্জি ভিজে গেছে। হাতে ধরা মাঝারি মাপের একটা শাবল। কোনও রকমে থানার বারান্দায় উঠে বসে পড়লেন। অবাক চোখে তাকিয়ে থাকা ডিউটি অফিসারকে বললেন, “আমি মার্ডার করেছি। আমাকে মারতে এসেছিল। এই শাবল দিয়ে ওকে একেবারে শেষ করে দিয়েছি!”

পুলিশ সূত্রের খবর, একটানা কথা বলে নেতিয়ে পড়েছিলেন ওই বৃদ্ধ। তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানল, তাঁর নাম আনন্দ সিংহ। বয়স পঁচাত্তর। বাড়ি চিরুগোড়া গ্রামে। শেষ দফার ভোট করতে থানা ঝেঁটিয়ে প্রায় সব পুলিশকর্মীকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বান্দোয়ান থানারও একই অবস্থা। ওসি রজত চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ ওই বৃদ্ধকে পুলিশই বান্দোয়ান ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়। তাঁর মাথায় ছ’টি সেলাই পড়েছে। রবিবার রাতেই ওই গ্রামের বাসিন্দা মানু সিংহ থানায় লিখিত অভিযোগ করে জানান, তাঁর স্বামী শ্রাবণ সিংহকে (৫৭) শাবলের বাড়ি মেরে পড়শি আনন্দ সিংহ খুন করেছেন। অভিযোগ পেয়েই আনন্দবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। চিরুগোড়া গ্রামে গিয়ে পুলিশ নিহতের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত ব্যক্তি ও অভিযুক্ত, দু’জনেই রবিবার দুপুরে নিজেদের জমির আলে থাকা ঘাস কাটছিলেন। সেই সময় কোনও একটি বিষয় নিয়ে দু’জনে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। বাসিন্দাদের একাংশ পুলিশকে জানিয়েছেন, আলে ঘাস কাটা নিয়ে মাঝমেধ্যেই ওই দু’জনের বিবাদ হত। শ্রাবণ সিংহ এলাকায় ডাকাবুকো লোক বলে পরিচিত ছিলেন। প্রায়ই নানা জনের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়তেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, বিকেল নাগাদ দু’জনে বাড়ি ফিরে আসার পরে শ্রাবণবাবু বাড়ি থেকে একটা শাবল নিয়ে গিয়ে হঠাৎ আনন্দবাবুর মাথায় মারেন। বৃদ্ধ মাটিতে পড়ে যান। আহত অবস্থাতেই উঠে পড়ে থাকা শাবল নিয়ে শ্রাবণবাবুর মাথায় ঘাড়ে এলোপাথাড়ি মারেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই শ্রাবণবাবুর মৃত্যু হয়।

গণধর্ষণ মামলা। বীরভূমের লাভপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে ধৃত তেরো অভিযুক্তকে সোমবার বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা জজের এজলাসে হাজির করানোর দিন ছিল। অতিরিক্ত জেলা জজ ছুটিতে থাকায় এই মামলার জন্য ২৩ মে দিন ধার্য করল আদালত। গত ১৮ এপ্রিল বোলপুরের এসিজেএম আদালতে ৪১৬ পাতার চার্জশিট দাখিল করেন লাভপুরের আদিবাসী তরুণী গণধর্ষণের ঘটনার তদন্তকারী অফিসার। ঘটনার ৮৬ দিনের মাথায় তেরো অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ-সহ মোট ৬টি ধারায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ওই অফিসার। তবে জেলা পুলিশের হাতে এই মামলায় এখনও ফরেন্সিক রিপোর্ট আসেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন