সাগর ঘোষের বাড়িতে সিআইডি

আক্ষেপ কাটল পাড়ুইয়ে খুন হওয়া সাগর ঘোষের পরিবারের। কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরে বাড়িতে গিয়ে নিহতের স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউয়ের বক্তব্য নথিভুক্ত করল সিআইডি-র তদন্তকারী দল। এখন তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকেই তাদের চোখ থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবারটি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাড়ুই শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ২১:০৫
Share:

আক্ষেপ কাটল পাড়ুইয়ে খুন হওয়া সাগর ঘোষের পরিবারের। কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরে বাড়িতে গিয়ে নিহতের স্ত্রী, ছেলে, ছেলের বউয়ের বক্তব্য নথিভুক্ত করল সিআইডি-র তদন্তকারী দল। এখন তদন্তের গতিপ্রকৃতির দিকেই তাদের চোখ থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবারটি।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে সিআইডি-র বর্ধমান জোনের ডিএসপি সিঞ্চন রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল বাঁধ নবগ্রামে নিহতের বাড়িতে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা

ধরে তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। গোয়েন্দারা গ্রাম ছাড়তেই সাগরবাবুর স্ত্রী সরস্বতীদেবী বলেন, “গোয়েন্দারা হাইকোর্টে এখন কী রিপোর্ট দেন, সেটা দেখতে চাই। রিপোর্ট সামনে এলেই বুঝতে পারব, ওঁরা কী রকম তদন্ত করছেন।”

Advertisement

গত ২১ জুলাই রাতে, পঞ্চায়েত ভোটের ঠিক আগে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মারা যান সাগরবাবু। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সরস্বতীদেবী এবং তাঁর পুত্রবধূ শিবানী ঘোষ। গত ২৩ ডিসেম্বর মামলার তদন্তভার বীরভূম জেলা পুলিশের থেকে নিয়ে সিআইডি-র হাতে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত শুক্রবারই ওই সময়সীমা শেষ হয়। কিন্তু সে দিন হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা না দিয়ে মামলার তদন্তে আরও সময় চেয়ে আবেদন করেছিল সিআইডি। অসন্তুষ্ট বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সে দিনই প্রশ্ন তোলেন, সিআইডি-র তদন্তকারী দল এখনও কেনও সাগরবাবুর স্ত্রী-পুত্রবধূর বয়ানই নেয়নি।

গোয়েন্দারা এ দিন সরস্বতীদেবী এবং শিবানীদেবীর সঙ্গেই দীর্ঘ সময় কথা বলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন আততায়ীরা বাড়ির ঠিক কোন জায়গা থেকে সাগরবাবুকে গুলি করেছিল, সাগরবাবুর শরীরের কোথায়-কোথায় গুলি বিঁধেছিল-সহ বিশদে ঘটনাক্রম জানতে চান সিআইডি-র অফিসারেরা। পরে বাড়িটির মধ্যে নানা মাপজোক করেন তাঁরা।

সরস্বতীদেবীদের অভিযোগ ছিল, ঘটনার ঠিক পরেই পাড়ুই থানার পুলিশ তাঁদের জোর করে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেয়। সেই কাগজেই এফআইআর লেখা হয়। তাতে তাঁরা যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে চাইছিলেন, তাঁদের কারও নাম ছিল না। পরে অবশ্য তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-সহ মোট ৪১ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান শিবানীদেবী। এ দিন ওই প্রসঙ্গেও শিবানীদেবীদের সঙ্গে দীর্ঘ ক্ষণ কথা বলেন গোয়েন্দারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন