একটি সেতুর নীচ থেকে দুই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে রামপুরহাট-দুমকা রাস্তার উপর ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানার শহরপুর এলাকা থেকে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার হয়। শিকারিপাড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত আঙ্গুর শেখ (৩৫) ও বরজাহান শেখের (৩২) বাড়ি রামপুরহাট থানার বড়পাহাড়ি গ্রামের হাসপাতাল পাড়ায়। আঙ্গুর শেখের কাছ থেকে একটি দেশি রিভলভার ও এক রাউন্ড গুলি পাওয়া গিয়েছে এবং মৃত দুই যুবকের কাছ থেকে একটি মোটরবাইক উদ্ধার হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুর্ঘটনায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কী কারণে তাঁরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন সেটা পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। অন্য দিকে, মৃত যুবক আঙ্গুর শেখের প্রথম পক্ষের স্ত্রী কনেজা বিবি বলেন, “বুধবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ স্বামী গ্রামের যুবক বরজাহান শেখ ও অন্য একজন অপরিচিত যুবককে নিয়ে বাড়ি থেকে ছেলের মোটরবাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন।” দু’জনের দেহ মিললেও তৃতীয় জনের কোনও হদিশ নেই। কনেজা বিবির দাবি, তাঁর স্বামীকে কেউ খুন করেছে। এ ব্যাপারে অবশ্য কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আঙ্গুর শেখের রামপুরহাট ছ ফুঁকো থেকে রেল স্টেশন যাওয়ার রাস্তার ধারে একটি খাবারের দোকান আছে। বুধবার রাত সাড়ে আটটার সময় সেখানে কিছুক্ষণের জন্য এসেছিলেন বলে হোটেলের কর্মচারি জানিয়েছেন। বরজাহান শেখের স্ত্রী জাহেদা বিবি বলেন, “স্বামী পাথর খাদান শ্রমিক। সাধারণত প্রতিদিন সাড়ে ন’টার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসেন। ওই দিন সন্ধ্যা সাতটার সময় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। আর বাড়ি ফেরেননি।” বৃহস্পতিবার দুপুরে দুমকায় দুই যুবকের দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।