১১৭ বছরে তারাশঙ্করের বাড়ির তারা মা পুজো

শুধুমাত্র তারাপীঠেই নয়, রীতি মেনেই তারা মায়ের পুজো হয় কথা-সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে লাভপুরেও। এই তারা মায়ের নামেই তারাশঙ্করের নামকরণ। সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হল পুজো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লাভপুর শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:০৮
Share:

লাভপুরের তারামা। —নিজস্ব চিত্র

শুধুমাত্র তারাপীঠেই নয়, রীতি মেনেই তারা মায়ের পুজো হয় কথা-সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে লাভপুরেও। এই তারা মায়ের নামেই তারাশঙ্করের নামকরণ। সোমবার সন্ধ্যায় শুরু হল পুজো।

Advertisement

মধ্যরাত পর্যন্ত দশ মহাবিদ্যার এক বিদ্যা রুপে তারা মা এখানে পূজিত হন। পুজোর সম্পর্কে জানা যায়, ১১৭ বছর আগে হরিদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রভাবতী দেবী দীর্ঘদিন নিঃসন্তান ছিলেন। বিহারের প্রসিদ্ধ তান্ত্রিক রামজী গোসাঁই ওই সময় তন্ত্র সাধনার জন্য ফুল্লরা দেবীর কাছে আসতেন। ওই তান্ত্রিক সাধক রামজী গোসাঁইর কাছে নিঃসন্তান বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতি নিজেদের দুঃখের কথা জানান। তান্ত্রিকের কথা মতো লাভপুরের দক্ষিণ প্রান্তে থাকা একটি ডাঙ্গাতে, দুর্গাপুজোর পর শুক্ল চতুর্দশী রাতে তাঁরা পুজো করেন।

সোমবার পারিবারিক পুরোহিত সুভাষ ভট্টাচার্য বলেন, “পুরুষানুক্রমিক এই পুজো আমরা করে আসছি। পূর্বপুরুষদের কাছে জেনেছি, বিহারের ওই তান্ত্রিক সাধকের পরামর্শ মত প্রভাবতীদেবী মা তারার পুজো করায় একটি শিশুপুত্র ভূমিষ্ঠ হয়। মা তারার আরাধনায় পুত্রলাভ হওয়ায়, বন্দ্যোপাধ্যায় দম্পতি তাঁর নামকরণ করেন তারাশঙ্কর।”

Advertisement

লাভপুর লাগোয়া কোতলঘোষা গ্রামের বাসিন্দা সুভাষবাবু আরও জানান, জমিদারী প্রথা বিলোপ এবং আনুসঙ্ঘিক নানা অসুবিধের মধ্যেও, বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বাড়ির দুর্গা মণ্ডপে ওই পুজো করতেন। এখনও পারিবারিক এ পুজোতে সামিল হন গোটা গ্রামের মানুষ। পুজো চলে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন