দুই জাতীয় নেতা এবং রাজ্যে শাসক দলের প্রাক্তন পরিষদীয় দলনেতার স্মরেণ শোকপ্রস্তাব নিয়ে আলোচনা। কিন্তু বিধানসভায় নেই মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় মন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা।
কেন এই তিন নেতা গরহাজির, তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বিধানসভায় প্রশ্ন উঠল। জেলা সফররত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে সভায় থাকা সম্ভব না হলেও শহরে উপস্থিত পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এলেন না কেন? কেন নেই বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান? আলোচনা চলাকালীন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়ে এই গরহাজিরার কারণ জানতে চান বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
বিরোধীদের এই প্রশ্নের জবাবে সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ সভায় জানান, ‘‘গত শনিবার এই শোকপ্রস্তাব আলোচনা হবে বলে আগে ঠিক হয়েছিল। সেই দিন সভা হলে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে থাকা সম্ভব হত। পরে দিন বদল হয়। মুখ্যমন্ত্রী এখন জেলা সফরে। তাই ওঁর পক্ষে আসা সম্ভব হয়নি।’’ কিন্তু পরিষদীয় মন্ত্রীর অনুপস্থিতির কারণ নিয়ে সভায় নির্মলবাবু কিছু বলেননি। পরে নিজের ঘরে স্পিকার বলেন, ‘‘শোকপ্রস্তাব আলোচনায় পরিষদীয় মন্ত্রী থাকলে ওঁকে বলতেই হত। কিন্তু কেন উনি আসেননি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়নি।’’
পরে পার্থবাবু বলেন, ‘‘যে তিন বিশিষ্ট রাজনীতিকের স্মরণে আলোচনা হল, তাঁদের প্রত্যেকের স্মরণসভায় আলাদা আলাদা ভাবে আমি উপস্থিত থেকেছি। বিধানসভায় ওঁদের স্মরণে কে কে বলবেন, তা তো বুধবারই ঠিক করে দিয়ে এসেছিলাম।’’ বিরোধী দলনেতা মান্নানের শরীর ভাল না থাকায় আলোচনায় অংশ নিতে পারেননি বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।