RBU

RBU: কাজ করতে পারছি না, মুখ্যমন্ত্রীকে জোড়া চিঠি তবু সুরাহা হয়নি, ক্ষুব্ধ রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য

কাজ করতে পারছেন না জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দু’বার চিঠি দিয়েছেন। সুরাহা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২২ ১৯:২৭
Share:

মুখ্যমন্ত্রীকে দু’বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, পদ থেকে অব্যাহতি চান।

দৈনন্দিনের কাজ করতে পারছেন না। বাধা আসছে। মুখ্যমন্ত্রীকে দু’বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, পদ থেকে অব্যাহতি চান। তার পরেও সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী।

Advertisement

সব্যসাচীর দাবি, গত ১০ জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথম চিঠিটি দিয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় চিঠিটি দেন ১৮ জুলাই। তাঁর দাবি, ওই চিঠিতে তিনি জানিয়েছিলেন, বার বার রবীন্দ্রভারতী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন। আর এই বিক্ষোভের কারণে ১৮ জুলাইয়ের পর থেকে আর নিজের দফতরে যেতেই পারেননি তিনি। তাঁর দাবি, স্থানীয় বিধায়ক অতীন ঘোষ আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি বলেই দাবি সব্যসাচীর।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য কোভিডকালের আগে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছর মে মাসে শেষ পর্যন্ত সেই নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে পরীক্ষা নেয় বাইরের একটি সংস্থা। উপাচার্যের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এর পরেই একটি ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে তাদের সংগঠনের প্রার্থীদের প্রাধান্য দিতে হবে। অভিযোগ, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি বলে তার পর থেকেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ বাড়তে থাকে। উপাচার্য বলেন, ‘‘শাসকদলের ঘনিষ্ঠরাই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে।’’

Advertisement

উপাচার্যের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ‘‘এটা ঠিক নয়। উপাচার্যকে কাজে বাধা দেওয়া হলে তা একেবারে ঠিক নয়। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী দেখবেন, যাতে সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।’’

এ বিষয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আপস করতে করতে সহ্যের শেষ সীমায় ঠেলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শিক্ষার কঙ্কালসার চেহারা স্পষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার পরিবেশ নেই। তোলাবাজির পরিবেশ। অন্যায্য, অনৈতিক দাপট দেখানোর প্রতিযোগিতা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement