বাঘাযতীন পার্কে রবীন্দ্র মূর্তিতে মালা দিচ্ছেন অশোক ভট্টাচার্য। সেখানেই পরে শ্রদ্ধা নিবেদন গৌতম দেবের। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
শিলিগুড়িতে রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানকে ঘিরেও ‘আমরা-ওঁরা’র রাজনীতি সামনে এল। রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিলিগুড়ি পুরসভা। কিন্তু তাতে তৃণমূল কাউন্সিলরেরা যোগ দেননি। বেলা ন’টা নাগাদ পুরসভার অনুষ্ঠান চলাকালীন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা বাঘাযতীন পার্কের রবীন্দ্র মূর্তিতে গিয়ে মালা দেন। তাঁরা রাজনীতি করার অভিযোগ তোলেন পুরসভার বিরুদ্ধে। বিদায়ী উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব-সহ তৃণমূলের কাউন্সিলররা কেউই পুরসভার আমন্ত্রণ পাননি বলে দাবি করেন। যদিও মেয়র অশোক ভট্টাচার্য ও বিভাগীয় মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, সকলকেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। কেউ অস্বীকার করলে কিছু করার নেই। রবিবার সকাল সাতটায় পুরসভার পক্ষ থেকে রবীন্দ্র মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ, শরদিন্দু চক্রবর্তীরা। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকারও। সেখানেই পূরসভার সকল কাউন্সিলরদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘এটা পুরসভার অনুষ্ঠান, কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। সমস্ত কাউন্সিলরদের চিঠি দিয়েছি। ওঁরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাদের ডাকেন না ঠিকই, তবে আমরা সৌজন্য ভুলিনি।’’ মেয়র পারিষদ শঙ্করবাবু জানান, সবাইকেই চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলেরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুষ্ঠানকে ঘিরেও ইচ্ছাকৃত রাজনীতি করলেন। পুরসভার অনুষ্ঠান চলাকালীনই গৌতম দেবের নেতৃত্বে নান্টু পাল, রঞ্জন সরকার সহ সমস্ত তৃণমূল কাউন্সিলররা বাঘাযতীন পার্কে আসেন। তাঁদের পুরসভার অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকেই ডেকে নেওয়া হয়। পুরসভার তরফে ফুল রবীন্দ্র প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণের জন্য দেওয়া হলেও তাঁরা তা নেননি। নিজেদের আনা ফুল দিয়ে চলে যান। বিদায়ী মন্ত্রী জানান, পুরসভার অনুষ্ঠানে আসিনি। আমরা আমাদের মত করে এখানে রবীন্দ্রমূর্তিতে মালা দিতে এসেছেন। মন্ত্রীর দাবি, ‘‘বিগত বছরগুলিতে আমরা শ্রদ্ধা জানিয়েছি। তাই এ বারও আমরা এখানে এসেছিলাম। আমাদের কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারেরও দাবি, আমন্ত্রণ পাননি। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তৃণমূলের কেউ যোগ দেননি।