বঙ্গে বিজেপি রুখতে রাহুলের তাস সংগঠন

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রমরমায় উদ্বিগ্ন রাহুল গাঁধী। রাজ্য কংগ্রেসের জন্য তাঁর দাওয়াই, বুথ এবং পারলে ব্লক স্তর পর্যন্ত কমিটি তৈরি করে সংগঠনে নজর দিতে হবে। রাস্তায় কংগ্রেসকে দেখা গেলে তবেই তাদের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখা সম্ভব।

Advertisement

দিগন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৭ ০৪:৩৬
Share:

ফাইল চিত্র।

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির রমরমায় উদ্বিগ্ন রাহুল গাঁধী। রাজ্য কংগ্রেসের জন্য তাঁর দাওয়াই, বুথ এবং পারলে ব্লক স্তর পর্যন্ত কমিটি তৈরি করে সংগঠনে নজর দিতে হবে। রাস্তায় কংগ্রেসকে দেখা গেলে তবেই তাদের পক্ষে বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখা সম্ভব।

Advertisement

রাজ্য ধরে ধরে বৈঠকের মধ্যেই কংগ্রেসের সহ-সভাপতি পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে দু’টি বৈঠক করেছেন। দিল্লিতে কংগ্রেসের ওয়ার রুমের একটি বৈঠকে পি চিদম্বরমের মতো নেতার উপস্থিতিতে অন্য রাজ্যের সঙ্গে ছিলেন বাংলার কংগ্রেস নেতারাও। চিদম্বরম তথ্য দিয়ে সেখানে বোঝান, বহু জায়গাতেই কংগ্রেসের কমিটি নেই। বিজেপির সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলায় কংগ্রেস কখনও পাল্টা সাম্প্রদায়িক হবে না। তাদের জোর দিতে হবে সংগঠনেই। পরে তাঁর বাড়িতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ৭ কংগ্রেস নেতাকে নিয়ে বৈঠকেও রাহুলেপ পরামর্শ, দল এখন সরকারে নেই। মাটি কামড়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করার এটাই উপযুক্ত সময়।

কয়েক সপ্তাহ ধরে সনিয়া ও রাহুল রাজ্য ধরে ধরে সংগঠনে অস্ত্রোপচার শুরু করেছেন। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে যা দরকার ছিল। ‘টিম রাহুল’-এর কথা মাথায় রেখে রাজ্য সংগঠনেই নয়, এআইসিসি-তেও বদল হচ্ছে। কংগ্রেসের এক নেতার বক্তব্য, নতুন টিম গঠনের সময় যখন নতুন প্রজন্মকে সামনে আনা হচ্ছে, সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের নেতৃত্ব বদল হবে কি না, তা-ও ভাবনায় রয়েছে রাহুলের। তবে এ বিষয়ে ১০, জনপথই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। রাহুলের বাড়ির বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতা বলেছিলেন, তাঁরা রাজ্যে সভাপতি বদলের দাবি নিয়ে আসেননি। তাঁরা চান সাংগঠনিক ভাবে এমন পরিস্থিতি থাকুক, যাতে বাংলায় তাঁরা কংগ্রেসটা করতে পারেন। রাহুল তাঁদের জানান, এলাকা ধরে সংগঠনে জোর দিন রাজ্যের নেতারা। তার পরে তিনি রাজ্য সফরে যাবেন। বাংলার নেতাদের দু’টি বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক সি পি জোশী।

Advertisement

রাহুল-ঘনিষ্ঠ এক নেতা বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে সামনে রেখে সনিয়া এখন বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে চাইছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কথা বলার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। কিন্তু বিজেপি-র রমরমার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সংখ্যালঘু তাস খেলার বাড়াবাড়ি যে অনেকটা দায়ী, তা-ও কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বুঝতে পারছে। তবে রাহুলের নির্দেশ, বিরোধী পরিসর কোনও ভাবেই বিজেপি-র কাছে হাতছাড়া করা যাবে না। প্রয়োজনে রাজ্য স্তরে নেতাদের মাসে কিছু দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে সংগঠনের কাজ করতে হবে। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘কারও গলগ্রহ হয়ে না থেকে সংগঠনটাই ভালো করে করার নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল।’’ এআইসিসি সূত্রের বক্তব্য, জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচন হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন