কলকাতায় কর্মিসভা করবেন রাহুল: অধীর

বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস কর্মীদের চাঙ্গা করতে আগামী ৬ জুন কলকাতায় আসছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। রবিবার বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ কথা জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থান এবং কংগ্রেস কর্মীদের করণীয় কী, তা জানাতেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মীসভায় হাজির থাকবেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৫ ০৩:৫১
Share:

বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেস কর্মীদের চাঙ্গা করতে আগামী ৬ জুন কলকাতায় আসছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। রবিবার বহরমপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এ কথা জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি জানান, বর্তমান রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যে কংগ্রেসের অবস্থান এবং কংগ্রেস কর্মীদের করণীয় কী, তা জানাতেই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কর্মীসভায় হাজির থাকবেন রাহুল গাঁধী। সভায় রাজ্যের সমস্ত বুথ স্তরের কর্মীরা থাকবেন।

Advertisement

কলকাতার সভার আগে হুগলির রিষড়া জুট মিলে রাহুল গাঁধী যাবেন বলে এ দিন জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। ওই জুট মিলের প্রায় তিন হাজার কর্মী আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন। মিল পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানকার কাজ হারানো কর্মীদের সঙ্গেও রাহুল গাঁধী কথা বলবেন। অধীর বলেন, ‘‘শুধু হুগলির ওই চটকল নয়, রাজ্যে চটকল শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের জুলুমবাজি-অত্যাচারে কারখানা চালাতে পারছি বলে মালিকরা বার বার একাধিক জায়গায় অভিযোগ করছেন।’’ ইউপিএ সরকার চাল-গম-চিনির মজুতের ক্ষেত্রে পাটের বস্তা ব্যবহারের কোটা বেধে দিয়েছিল। কেন্দ্রে বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এসে সেই কোটা কমিয়ে দিয়েছে। সব মিলিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতায় পাট শিল্পের হাল খারাপ। এই অভিযোগ করে অধীর জানান, রাহুল গাঁধী মেয়ো রোডে গাঁধী মূর্তিতে মাল্যদান করার পর ধান ও আলু চাষিদের সঙ্গে মিছিল করে তিনি সভাস্থলে যাবেন।

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘‘ভিজিল্যান্স ও মনিটরিং’ কমিটির সভা হওয়ার কথা প্রতি মাসে। কমিটির কাজ হল, কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কাজ যথাযথ হচ্ছে কিনা, তা দেখা। আমি ওই কমিটিতে রয়েছি। কিন্তু ২০১২ সালের পর ওই বৈঠক হয়নি। মাঝে একবার কমিটির বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের সর্বময় কর্তা জেলা শাসকই বৈঠকে আসেননি। তাই আমরা বৈঠক কক্ষ ত্যাগ করি।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের আরআইডিএফ, একশো দিনের কাজ থেকে সংখ্যালঘু উন্নয়নের টাকা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের পকেটে ঢুকছে। বৈঠক হলে তা ধরা পড়ে যাবে। সেই কার‌ণে জেলা প্রশাসন শাসকদলের নেতাদের বাঁচাতে কমিটির বৈঠক ডাকছেন না।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন