দত্তপুকুরে গোলমাল থামাতে তৎপর বাহিনী। ছবি: সুদীপ ঘোষ
পিকনিক থেকে ফেরার পথে গাড়িতে মাইক বাজানো নিয়ে দুই এলাকার মধ্যে গোলমাল বেধেছিল রবিবার সন্ধ্যায়। যার জেরে সোমবার দুপুরে দত্তপুকুর স্টেশনে রেল অবরোধ হয়। পুলিশ-জনতা দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো হয়। জখম হন পুলিশকর্মীরা। রেল অবরোধের জেরে দুর্ভোগে পড়েন শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখার অসংখ্য যাত্রী। এ দিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ছিল। সময় মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেননি অনেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সন্ধে ৬টা নাগাদ চাকলা থেকে বনভোজন সেরে গাড়িতে গান বাজাতে বাজাতে ফিরছিল দত্তপুকুরের একটি দল। চাকলা ছাড়িয়ে গাড়ি কিছু দূর এগোনোর পরে সেখানকার বাসিন্দারা মাইক বন্ধ করতে বলেন। তাতেই বচসা, মারপিট বেধে যায়। পুলিশ গিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে।
এরই প্রতিবাদে সোমবার দত্তপুকুর স্টেশনে সকাল ১০টা থেকে কিছু লোক অবরোধ শুরু করে। বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক ট্রেন দাঁড়িয়ে পড়ে। যশোর রোডেও যানজট তৈরি হয়।
আরও পড়ুন: কুয়াশার দোসর অবরোধ, নাকাল ট্রেনযাত্রীরা
অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কর্তারা। তাঁদের লক্ষ্য করে শুরু হয় ইট-বৃষ্টি। রেললাইনের ধার থেকে পাথর কুড়িয়ে পুলিশের দিকে ছুড়তে থাকে জনতা। দত্তপুকুর থানার সাব ইন্সপেক্টর সুব্রত পুরকাইত-সহ তিন পুলিশ কর্মী জখম হন। র্যাফ আসে। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে, লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধের ঘটনায় ৪ জন গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
দমদম মতিঝিল কলেজের তৃতীয় বর্ষের অনার্স পরীক্ষার্থী মিতাশা গোস্বামী থাকেন বনগাঁ। অবরোধের জেরে প্রায় আধ ঘণ্টা বিড়া স্টেশনে আটকে ছিলেন। ওই তরুণীর কথায়, ‘‘পরীক্ষা শুরু হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পরে আমি হলে পৌঁছই।’’