রেল অবরোধে মেচেদা স্টেশনে আটকে নিত্যযাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র।
রেল পুলিশের ‘অমানবিকতা’য় এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ। আর তার জেরেই পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা স্টেশনে চার ঘণ্টা রেল অবরোধে জেরবার হলেন নিত্যযাত্রীরা ।
বৃহস্পতিবার সকালে সাইকেল নিয়ে লাইন পেরনোর সময় হাওড়া থেকে দিঘাগামী ট্রেন ধাক্কা মারে বহেলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আলমকে (৪৬)। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দু্র্ঘটনার পরেও আলম বেঁচেছিলেন। কিন্তু তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় রেল পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক ঠিকাদারের অধীনে কর্মরত আলম ঘটনাস্থলে পড়ে থাকায় কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা যান।
এর পর পরিস্থিতি তপ্ত হয়ে ওঠে। রেল পুলিশের বিরুদ্ধে অমানবিকতার অভিযোগে সকাল সাড়ে সাতটা থেকে মেচেদা স্টেশনে শুরু হয় রেল অবরোধ। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে হাওড়া এবং খড়্গপুরগামী সমস্ত লোকাল ট্রেন। হলদিয়া ও দিঘাগামী ট্রেনও থমকে যায়। মেচেদা স্টেশনে তখন শ’য়ে শ’য়ে নিত্যযাত্রীর ভিড়। এরই মধ্যে ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত এক প্রৌঢ় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রেল অবরোধে মেচেদা স্টেশনে অসুস্থ নিত্যযাত্রী। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: কেউ বাড়ি করলে তোমাকে টাকা দেবে কেন? ভরা সভায় নেতাকে ধমক মমতার
আরও পড়ুন: চল্লিশটি আঘাতে গুঁড়ো শিবাজীর দেহ
পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী নিয়ে তমলুকের মহকুমা শাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর কাছে ট্রেন লাইন পারাপারের জন্য সাবওয়ে এবং মৃতের পরিবারের এক জনের জন্য চাকরির দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে বিবেচনার আশ্বাস দেওয়ায় রেল অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ধীরে হলেও স্বাভাবিক হয় ট্রেন চলাচল।