বলা যায়, রেলের আত্মসমীক্ষা। এবং এক বারের সেই সমীক্ষাতেই রেল দেখেছে, পরিচ্ছন্নতায় বেশির ভাগ স্টেশন পাশ নম্বর পায়নি। হাল ফেরাতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তি করল রেল। চুক্তি অনুযায়ী সব স্টেশনকে সাফসুতরো রাখতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে রেল ভবন। স্টেশন পরিচ্ছন্ন রাখা এবং দূষণ কমানোর সঙ্গে সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে জল ও বিদ্যুৎ বাঁচানোর উপরে।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে বিভিন্ন শর্তের মধ্যে আছে: • বড় বড় স্টেশনে বর্জ্যের পরিমাণ কমাতে হবে। •পরিকল্পনার ভিত্তিতে স্টেশন-চত্বরের সবুজায়ন। • জলের ব্যবহার অন্তত ২০ শতাংশ কমানো। রেলকর্তারা জানান, দূষণ কমানোর জন্য স্টেশন ও ট্রেনে সৌর শক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। আস্তে আস্তে বাড়ানো হচ্ছে বায়ো ডিজেলের ব্যবহারও। বাতাসে কার্বনের পরিমাণ কমানোর জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার জন্য সবুজায়ন-সহ নানা ধরনের পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে।
‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের পরিকল্পনার সময়েই রেল মন্ত্রকের নির্দেশে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন বা আইআরসিটিসি গত বছর দেশ জুড়ে স্টেশনগুলির পরিচ্ছন্নতা ও দূষণ নিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছিল। তাতেই স্টেশন-স্বাস্থ্যের দুর্দশা বেআব্রু হয়ে যায়। সেই সমীক্ষায় প্রথম স্থান পেয়েছিল গুজরাতের সুরাত স্টেশন। এ রাজ্যের হাওড়া ও শিয়ালদহের স্থান হয়েছিল তালিকার শেষ দিকে। এমনকী নয়াদিল্লি স্টেশনেরও অবস্থা তথৈবচ। তার পরেই রেলপথে, ট্রেনে ও স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা বাড়াতে এবং পরিবেশ যথাসম্ভব দূষণমুক্ত করতে রাষ্ট্রপুঞ্জের দ্বারস্থ হয় রেল মন্ত্রক।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে চুক্তির অন্যতম বড় লক্ষ্য, রেলে জল ও বিদ্যতের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা। দেশে সরকারি সংস্থার মধ্যে রেলেই সব থেকে বেশি বিদ্যুৎ ও জল ব্যবহৃত হয়। এই দু’টি ক্ষেত্রে যথাসাধ্য সাশ্রয়ের চেষ্টা করলে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় রোধ করা যাবে বলে আশা করছে রেল।