বন্যায় বিপর্যস্ত রেল

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আগামী তিন-চার দিন ওই সব এলাকায় ভারী বৃষ্টি চলবে। ফলে রেল চলাচল কবে স্বাভাবিক হবে, তা-ও এ দিন স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা। রেলকর্তারা বলেন, শনিবার হঠাৎ পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ায় রাতে রওনা হওয়া আপ ও ডাউন ট্রেনগুলিকে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১০
Share:

ছবি: সংগৃহীত

যে ট্রেনের সকাল আটটায় এনজেপি স্টেশনে পৌঁছনোর কথা, সেই দার্জিলিং মেল দুপুর তিনটের সময়ে মুরারই থেকে কলকাতায় ফিরে গেল। একই ভাবে সারারাত ও তার পরে এক বেলা পুরো দাঁড়িয়ে থাকার পরে পদাতিক এক্সপ্রেস ফিরে গেল ছাতরা থেকে। শুধু এই দুই ট্রেনই নয়, উত্তরবঙ্গ ও অসমে বন্যা পরিস্থিতির জন্য চেন্নাই, মুম্বই, দিল্লি-সহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেক আসা মোট ২০টি ট্রেন রবিবার বাতিল হয়ে গেল।

Advertisement

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, আগামী তিন-চার দিন ওই সব এলাকায় ভারী বৃষ্টি চলবে। ফলে রেল চলাচল কবে স্বাভাবিক হবে, তা-ও এ দিন স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কর্তারা। রেলকর্তারা বলেন, শনিবার হঠাৎ পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ায় রাতে রওনা হওয়া আপ ও ডাউন ট্রেনগুলিকে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। রেল সূত্রের খবর, কিষানগঞ্জ, কানকি, হাটোয়ার, আলুয়াবাড়ি, এমনকী গুয়াহাটির কাছে সরাইঘাট সেতু জলমগ্ন। কাটিহার, আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন জায়গাতেও অবস্থা ভাল নয়। শনিবার রাত থেকে টানা বৃষ্টির জেরে ডালখোলা, বারসই, যোগবাণী স্টেশনে রেল লাইন তিন-চার ফুট জলের তলায়। গুয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্রের জল বিপদসীমার উপরে বইছে। দার্জিলিং, পদাতিক তো বটেই, মাঝপথে আটকে যায় উত্তরবঙ্গ, কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসকেও। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার ফলে বাতানুকূল যন্ত্রও বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তি হয় যাত্রীদের।

আরও পড়ুন: যে জন আছে মাঝখানে

Advertisement

রেল সূত্র বলছে, এ দিন রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকে ৪টি আপ ও ১০টি ডাউন এক্সপ্রেস ট্রেন। রেল জানায়, দক্ষিণ ভারতের আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য সোমবার মধ্য রাতে হাওড়া থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত একটি ট্রেন চালানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement