প্রতীকী ছবি।
নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে ডেঙ্গির দাপটে খানিকটা ছেদ পড়বে বলে আশা ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা, রোদ উঠলেই খানাখন্দের জমা জলে ফের জন্মাবে মশা। তাতেই বাড়তে পারে ডেঙ্গির দাপট। সে কথা জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবন থেকে নবান্নে সতর্কবার্তা পাঠানো হচ্ছে বলে সরকারি সূত্রের খবর। পাশাপাশি পুর ও নগরোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত দফতর যাতে বৃষ্টি বন্ধ হলেই আরও এক দফা ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারে নামে, সেই অনুরোধও করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।
স্বাস্থ্য কর্তাদের এই আশঙ্কার কারণ কী?
স্বাস্থ্য ভবনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘টানা ভারী বৃষ্টি হলে ডেঙ্গির লার্ভা ধুয়ে মুছে যায়। ফলে জ্বরের প্রকোপ কমার সম্ভাবনাই স্বাভাবিক। কিন্তু পুজোর পর যা ঘটেছে তাতে উল্টো অভিজ্ঞতা হয়েছে।’’ ওই স্বাস্থ্য কর্তা জানাচ্ছেন, এ বার পুজোর সময় টানা বৃষ্টি হয়েছিল। বৃষ্টি কমতেই অক্টোবরের প্রথম দিকে শুরু হয় ডেঙ্গির দাপট। এ বার যা মৃত্যু হয়েছে তার বেশিরভাগটা চলতি মাসেই। বৃষ্টির পর রোদ উঠতেই বিভিন্ন খানা খন্দে যে জমা জল ছিল, সেখানে নতুন করে মশা জন্মায়। নতুন করে শুরু হয় ডেঙ্গিও।
স্বাস্থ্য ভবনের খবর, গত দু’সপ্তাহ ধরে কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় যে ডেঙ্গির প্রকোপ চলছে, তা নতুন করে বাড়েনি। তবে একেবারে কমেও যায়নি। উত্তর ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়িতেও ডেঙ্গি বা অজানা জ্বরের দাপট এখনও পুরোপুরি কমে যায়নি। কিন্তু এরমধ্যেই নিম্নচাপ স্বাস্থ্য ভবনের চাপ বাড়িয়ে দিয়েছে।
এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, ‘‘মনে হচ্ছিল সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কিন্তু যা দাঁড়াল তাতে বোঝাই যাচ্ছে ফের ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়বে। তা সামাল দেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জ।’’
সেই কারণে পুর ও পঞ্চায়েত দফতরের কাছে বিশেষ অনুরোধ করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। বৃষ্টির পর রোদ উঠলেই যাতে আরও এক দফা প্রচারে নেমে জমা জল পরিষ্কার করা যায়, ব্লিচিং ছড়ানো যায় বা ধোঁয়া দেওয়া যায়। কলকাতাসহ আশপাশের পুরসভাগুলিকেও এ নিয়ে মাঠে নামার অনুরোধ জানাবে স্বাস্থ্য ভবন। পরিস্থিতি যে খারাপ হতে পারে তা নবান্নকেও জানিয়ে রাখা হবে বলে স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন।