মালগা়ড়ির চালকের তৎপরতায় বড়সড় অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল ডিব্রুগড় থেকে দিল্লিগামী ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ নিউ কোচবিহার স্টেশনে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকার সময় এ-১ কামরার উপরের দিকে ওই ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। রেল সূত্রের খবর, ওই সময়েই নিউ কোচবিহার স্টেশনের অন্য লাইন দিয়ে আলিপুরদুয়ারগামী একটি মালগাড়ি যাচ্ছিল। ওই ট্রেনের চালক পরশুরাম কুমারের নজরে পড়ে রাজধানীর একটি কামরা থেকে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তা আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল কন্ট্রোল রুমে বিষয়টি জানান।
তার পরেই রেলকর্মীরা ওই কামরায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেন। কোচবিহার দমকল কেন্দ্রের একটি ইঞ্জিনও সেখানে পৌঁছয়। শুরু হয় পুরো ট্রেনের যন্ত্রাংশ খতিয়ে দেখার কাজ। ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা নিউ কোচবিহার স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় ট্রেনটিকে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের এডিআরএম রাজকুমার মাওয়ানে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ট্রেনটিকে ওই স্টেশনেই দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। দুপুর ১টার পর ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে। এই ঘটনায় রাজধানীর মতো ট্রেনের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীদের একাংশ।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের এডিআরএম বলেন, “ওই মালগাড়ির চালক পরশুরাম কুমার প্রথমে ঘটনার কথা জানান। তার ভিত্তিতেই সতর্কতামূলক সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই ট্রেন চালককে পুরস্কৃত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” তবে তিনি জানিয়েছেন, আগুন নয়, রাজধানী এক্সপ্রেসের ওই কামরার এসি মেশিনের গ্যাস লিক করে ধোঁয়া বেরিয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এনজেপি পর্যন্ত পুরো নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে।