ধর্নামঞ্চে হাজির থাকলেও শাস্তি নয় রাজীবদের

গত ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা এবং তাকে ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মতলায় ধর্না শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৯ ০২:১০
Share:

—ফাইল চিত্র।

কেন্দ্র যা-ই বলুক, মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নামঞ্চে উপস্থিত থেকে আইপিএস অফিসারেরা শৃঙ্খলা ভেঙেছেন বলে মনে করছে না রাজ্য সরকার। তাই শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে রাজি নয় তারা। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ নিয়ে বারংবার নির্দেশ দিলেও আপাতত তেমন কোনও পদক্ষেপ না-করার সিদ্ধান্তই নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। সম্প্রতি তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রকে।

Advertisement

গত ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানা এবং তাকে ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মতলায় ধর্না শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ধর্নায় রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র, কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের সঙ্গে ছিলেন অনুজ শর্মা এবং জ্ঞানবন্ত সিংহও। ধর্নামঞ্চে তাঁদের উপস্থিতিকে শৃঙ্খলাভঙ্গ বলেই মনে করেছে কেন্দ্র। যদিও ওই ঘটনার পরে কেন্দ্রকে দেওয়া ব্যাখ্যায় অফিসারদের পক্ষে সওয়াল করে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি সেখানে উপস্থিত বলেই তাঁর নিরাপত্তার স্বার্থে অফিসারেরা ঘটনাস্থলে ছিলেন। এই ব্যাখ্যা খুশি করতে পারেনি কেন্দ্রকে। রাজ্যকে তা জানিয়েও দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কেন্দ্র একই সঙ্গে রাজ্যকে জানিয়ে দেয়, শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করতে হবে।

রাজ্য প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার কোনও যুক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তা ছাড়া কেন্দ্র বললেই তো হবে না। আইনগত দিক থেকে ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র রাজ্যের হাতেই রয়েছে। কারণ, তাঁরা এ রাজ্যের ক্যাডারভুক্ত অফিসার। কেন্দ্রকে সেটা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’ ওই কর্তা জানান, বড়জোর শাস্তির সুপারিশ করতে পারে কেন্দ্র। কিন্তু তা দেওয়া হবে কি না, সেটা রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। কেন্দ্র নিজে থেকে শাস্তি দিতে পারে না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরিতে সুযোগ (ডেপুটেশন) বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা কেন্দ্রের হাতে রয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

প্রশাসনের অন্দরের ব্যাখ্যা, ওই আইপিএস অফিসারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে হলে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারকে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করতে হত। সরকার যখন তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগই মানছে না, তখন আর এ-সবের প্রয়োজন থাকছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন