মমতা-রাজনাথ কথায় স্বস্তিতে দার্জিলিংবাসী

মোর্চার মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে দলের নেতারা এখনই মন্তব্য করতে চাননি। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিতে বৈঠকের বিষয়ে আমরা এখনই কিছু বলছি না।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ০৪:৩৯
Share:

ফাইল চিত্র।

দিল্লিতে গিয়ে দার্জিলিঙের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলায় খানিকটা স্বস্তিতে সাধারণ পাহাড়বাসী। তাঁদের অনেকেরই মতে, এতে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার ক্ষেত্র ক্রমশ প্রস্তুত হচ্ছে। তাই পাহাড়ের নানা এলাকা থেকে মোর্চা নেতাদের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে, যেখানে খোদ মুখ্যমন্ত্রী নিজে থেকে দিল্লিতে গিয়ে পাহাড়-সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছেন, সেখানে সংঘাতের রাস্তা ছাড়া হোক।

Advertisement

রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবও এ দিন জানান, পাহাড়ের জনজীবন স্বাভাবিক করে দ্রুত আলোচনায় বসার কথা ভাবার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তো কবে থেকেই আহ্বান জানাচ্ছেন।

মোর্চার মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে দলের নেতারা এখনই মন্তব্য করতে চাননি। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন, ‘‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিতে বৈঠকের বিষয়ে আমরা এখনই কিছু বলছি না। সব স্তরে আলোচনা করে যথা সময়ে বলা হবে।’’ সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার দলের ‘শহিদ দিবস’ পালনের পরেই মোর্চার পক্ষ থেকে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, তিন দিন ধরে পাহাড় ও ডুয়ার্সে ঘুরে পরিস্থিতি দেখেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ। ওই সময়ের মধ্যে পাহাড়ে কোথাও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের চেষ্টা হয়নি। খুচখাচ কয়েকটি এলাকায় বেসরকারি গাড়ি ভাঙার ঘটনা ঘটেছ। উপরন্তু, ডিজি নিজে মিরিক সহ নানা এলাকায় গিয়ে অফিসার-কর্মীদের সমস্যা শুনে তা সমাধানে উদ্যোগী হওয়ায় পুলিশের মনোবলও খানিকটা বেড়েছে। তাই বুধবার দুপুরে কলকাতায় ফেরার মুখে ডিজি বলেছেন, ‘‘পাহাড়-ডুয়ার্সে ঘুরে পরিস্থিতি দেখলাম। অফিসার-কর্মীদের সঙ্গে কথা বললাম। পাহাড় এখন ঠিক আছে। তবে কোথাও আইনভঙ্গের চেষ্টা হলে পুলিশ কড়া পদক্ষেপ করবে।’’

পুলিশ সূত্রের খবর, কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে পাহাড় সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা শুরু হওয়ায় মোর্চার সহযোগী দলগুলিও দ্রুত পাহাড় স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছে। যদিও আলোচনা শুরু হলে সেখানে মোর্চার মতো তারাও যাতে সমমর্যাদা পায়, সে জন্য সহযোগী দলগুলি কোমর বেঁধে আসরে নেমেছে। যেমন, আজ, বড় মাপের জনসমাবেশ করে শহিদ দিবস পালনের চেষ্টা করবে জিএনএলএফ। ১৯৮৬ সালের ২৭ জুলাই কালিম্পঙে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনের সময়ে গুলি চালানো হলে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। সেই থেকে জিএনএলএফ দিনটি দলের শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে। পরে মোর্চার তরফে তা পালন শুরু হলে সেটাই বড় মাপের হয়ে ওঠে। আজ, জিএনএলএফ চকবাজারে অনুষ্ঠান করার কথা। মোর্চা ম্যালে অনশন মঞ্চের কাছাকাছি অনুষ্ঠান করতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন