শ্রীনু খুনের চার্জশিটে রামবাবুই মূল চক্রী

ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পড়ল রেল মাফিয়া শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায়। খড়্গপুরের আর এক রেলমাফিয়া বাসব রামবাবু-সহ ১৪ জনের নামে শনিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে শ্রীনু হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৩৮
Share:

পথে: শ্রীনু খুনের মামলায় চার্জশিট জমা দিতে যাচ্ছেন জি আর ও। মেদিনীপুর আদালতের পথে। নিজস্ব চিত্র

ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পড়ল রেল মাফিয়া শ্রীনু নায়ডু হত্যা মামলায়। খড়্গপুরের আর এক রেলমাফিয়া বাসব রামবাবু-সহ ১৪ জনের নামে শনিবার মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে শ্রীনু হত্যা মামলার চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে রামবাবু-সহ ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। চার্জশিটে সকলের বিরুদ্ধেই খুন, অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইন-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement

শ্রীনু খুনে জড়িতদের কেউই যে ছাড় পাবে না, দিন কয়েক আগে খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে তা বুঝিয়ে দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তারপরই এ দিন দুপুরে ১৬ পাতার চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখনই গোটাচ্ছে না। প্রয়োজনে ‘স্‌প্লিমেন্টারি চার্জশিট’ জমা দেওয়া হবে। চার্জশিটে যে ১৪ জনের নাম রয়েছে তার মধ্যে কে কাশী রাও এখনও পলাতক। পুলিশ জানিয়েছে, তার খোঁজ চলছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি অন্ধ্রপ্রদেশের তানুকা থেকে রামবাবুকে গ্রেফতার করার সময়ই পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ দাবি করেন, শ্রীনু হত্যার মূলচক্রী রামবাবু। সেই মতো চার্জশিটেও জানানো হয়েছে, শ্রীনুকে মেরে খড়্গপুরে নতুন করে মাফিয়ারাজ ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল রামবাবু। তাই কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীনুকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। এ দিন চার্জশিট জমা দেওয়ার পরে মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সমরকুমার নায়েক বলেন, “রামবাবুই ঘটনার মূল চক্রী। খড়্গপুরে ফের মাফিয়ারাজ ফিরিয়ে আনতে সে শ্রীনুকে খুনের ছক কষে।’’

Advertisement

গত ১১ জানুয়ারি বিকেলে খড়্গপুরের নিউ সেটলমেন্ট এলাকায় তৃণমূলের ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয় শ্রীনু। এই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর শ্রীনুর স্ত্রী পূজা। সে দিন খুন হয়েছিল ধর্মা রাও নামে শ্রীনুর এক শাগরেদও। জখম হয় তিনজন। শ্রীনু খুনের মামলা চলছে মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে। ইতিমধ্যে একাধিকবার মামলার তদন্তকারী অফিসার (আইও) বদল হয়েছেন। এই মামলায় সাক্ষী রয়েছেন ৮৯ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন আদালতে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন