সন্ন্যাসিনী ধর্ষণে দেড় বছর চলল শুনানি

সিআইডি সূত্রের খবর, ২০১৫-র ২০ জুন মামলার প্রথম চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারীরা। ওই বছরেরই ১১ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করা হয়। নদিয়া জেলা আদালতে মামলা চলাকালীন ওই স্কুলের মিশনারি সন্ন্যাসিনীদের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে বলা হয়, তাঁরা ভীষণ আতঙ্কে আছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:১০
Share:

দেড় বছর ধরে সব পক্ষের বক্তব্য শুনেছে নগর দায়রা আদালত। রানাঘাটের সন্ন্যাসিনীকে গণধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় মামলার শুনানি শেষ হয়েছে সোমবার। ওই আদালতের অতিরিক্ত বিচারক কুমকুম সিংহ এ দিন জানান, ৭ নভেম্বর তিনি রায় ঘোষণা করবেন।

Advertisement

২০১৫ সালের ১৩ মার্চ রাতে রানাঘাটের একটি কনভেন্ট স্কুলে হানা দেয় সাত দুষ্কৃতী। টাকা লুঠের সঙ্গে সঙ্গে তারা ওই স্কুলের এক বৃদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার দু’সপ্তাহের মাথায় হাবরা থেকে গোপাল সরকার, মুম্বই থেকে সালিম শেখ এবং বনগাঁ স্টেশন থেকে খালেদর রহমান মিন্টু ওরফে ফারুককে গ্রেফতার করে সিআইডি। পরে শিয়ালদহ স্টেশনে ধরা পড়ে মিলন সরকার এবং ওহিদুল ইসলাম ওরফে বাবু নামে অন্য দুই অভিযুক্ত। পরে সিআইডি-র হাতে ধরা পড়ে মূল অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ওরফে নজু। ঘটনার পরে কয়েক দিন রানাঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই সন্ন্যাসিনী। পরে তিনি দিল্লি চলে যান।

সরকারি কৌঁসুলি দীপক ঘোষ ও অনিন্দ্য রাউত বলেন, ‘‘তদন্তে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, রানাঘাটের ডন বস্কো পাড়ার ওই স্কুলে ডাকাতি ও ধর্ষণের পিছনে রয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের একটি দল। তার পরেই গ্রেফতার করা হয় ছয় অভিযুক্তকে।’’ তবে এক অভিযুক্ত এখনও ফেরার। এ দিন ধৃতদের নগর দায়রা আদালতে তোলা হয়েছিল।

Advertisement

সিআইডি সূত্রের খবর, ২০১৫-র ২০ জুন মামলার প্রথম চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারীরা। ওই বছরেরই ১১ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করা হয়। নদিয়া জেলা আদালতে মামলা চলাকালীন ওই স্কুলের মিশনারি সন্ন্যাসিনীদের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে বলা হয়, তাঁরা ভীষণ আতঙ্কে আছেন। মামলা চলাকালীন বা সাক্ষ্যদানের সময়ে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপরে হামলা চালাতে পারে। মামলাটি নদিয়া জেলা আদালত থেকে অন্যত্র সরানো হোক। গত বছর মে মাসে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নির্দেশে মামলাটি কলকাতার নগর দায়রা আদালতে সরানো হয়। সরকারি আইনজীবীরা জানান, বিচার পর্ব চলে ‘ইন ক্যামেরা’ বা রুদ্ধদ্বার আদালতে। দেড় বছর ধরে শুনানি চলাকালীন ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন