rape

ফাঁসি চাই ছাত্রী ধর্ষণে, মা সরব সিবিআইয়ে

২ মে বিধানসভার ভোটগণনার সাত দিন পরে তিন দুষ্কৃতী নবগ্রামের অনন্তপুর এলাকার জঙ্গলে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি

মেয়ের ধর্ষণের ঘটনায় তিন অভিযুক্ত ধরা পড়লেও পরে তারা জামিন পেয়ে গিয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের কাছে ধর্ষকদের ফাঁসির ব্যবস্থা করার দাবি জানালেন মা। ভোট-পরবর্তী ধর্ষণ ও খুনের তদন্তে নেমে রবিবার দুপুরে সিবিআইয়ের এক মহিলা-সহ দু’জন আধিকারিক মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার উব্রভাটপাড়া এলাকায় যান।

Advertisement

২ মে বিধানসভার ভোটগণনার সাত দিন পরে তিন দুষ্কৃতী নবগ্রামের অনন্তপুর এলাকার জঙ্গলে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার পরে রাতেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিন দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে নিয়ে তদন্ত চালানো হয়। তিন অভিযুক্তই পরে জামিনে মুক্তি পায়। সেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সিবিআই ওই নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে সবিস্তার খোঁজখবর নেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলার পরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল ফিরে যায়। ওই নাবালিকার মা বলেন, “মেয়ে আর আমাকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা চাই, অভিযুক্তদের ফাঁসি হোক। যারা মেয়ের সম্মানহানি করেছে, তাদের সেই শাস্তির আর্জি জানিয়েছি।’’

ভোট-পরবর্তী অশান্তিতে নিহত হন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার প্রসাদপুরের বাসিন্দা হারান অধিকারী। এ দিন তাঁর বাড়িতে ফের তদন্তে যায় সিবিআই। সকাল থেকে সিবিআই অফিসারদের দু’টি দল এলাকায় ঘুরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নথিভুক্ত করেছে। ২ মে হারান-সহ আট-দশ জন বিজেপি কর্মীর উপরে আক্রমণ হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় হারানকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Advertisement

সিবিআই এ দিন কাঁকুড়গাছিতে অভিজিৎ সরকারের বাড়িতে যায়। অভিজিতের মায়ের সবিস্তার বয়ান নেয় তারা। অভিযোগ, হামলার ঘটনার পরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় অভিজিতের মাকে দিয়ে একটি কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল নারকেলডাঙা থানার পুলিশ। অভিজিৎ খুনের ঘটনায় পুলিশ দু’টি এফআইআর করেছিল। ওই বিষয়ে এ দিন অভিজিতের মা মাধবীদেবীর বয়ান নিয়েছে সিবিআই।

জগদ্দলে ভোট-পরবর্তী হিংসায় এক বিজেপি কর্মীর মা শোভারানি মণ্ডল খুন হন বলে অভিযোগ। সেই হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত রতন হালদারকে নিয়ে এ দিন ফের ব্যারাকপুর আদালতে যায় সিবিআই। গ্রেফতার করার পরে সিবিআই তিন দিনের জন্য তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। এ দিন রতনকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় এ দিন আবার বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামে যায় সিবিআই। ওই ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়া ছ’জন অভিযুক্ত এখন জামিনে মুক্ত। শনিবার গ্রামে সেই ছ’জনকে না-পেয়ে সিবিআই তাঁদের বাড়িতে নোটিস দিয়ে আসে। অভিযুক্তেরা কত দিন ধরে গ্রামছাড়া, শেষ কবে তাঁরা গ্রামে এসেছিলেন, সেই সব বিষয়ে এ দিন বাসিন্দাদের কাছে খোঁজখবর নেন সিবিআই-কর্তারা। একটি সূত্রের খবর, অভিযুক্তদের মধ্যে চার জন এ দিন দুর্গাপুরে গিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন। তবে অভিযুক্তদের পরিবার বা নিহতের পরিবার সংবাদমাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন