Netai Incident

নেতাই গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটকেও জামিন দিল কলকাতা হাই কোর্ট

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মারা যান নয় গ্রামবাসী। জখম হন ২৮ জন। অভিযোগ ওঠে সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:০৫
Share:

কলকাতা হাই কোর্ট —ফাইল চিত্র।

কলকাতা হাই কোর্টে জামিন পেলেন নেতাই গণহত্যা মামলার অন্যতম অভিযুক্ত রথীন দণ্ডপাট। সোমবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ।

Advertisement

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে মারা যান ন’জন গ্রামবাসী। জখম হন ২৮ জন। এঁরা প্রত্যেকেই পুলিশের বিরুদ্ধে মিছিলে নেমেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় সিপিএম নেতা রথীনের বাড়ি থেকে সিপিএম-আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়।

প্রথমে ওই মামলার তদন্ত করে সিআইডি। পরে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ওই ঘটনায় সিপিএমের তৎকালীন বিনপুর জোনাল সম্পাদক অনুজ পাণ্ডে-সহ ২০ জন সিপিএম নেতা-কর্মী গ্রেফতার হন। বছর খানেক আগে জামিন পান ওই গণহত্যা মামলায় ধৃত এক মাত্র মহিলা আসামী ফুল্লরা মণ্ডল। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে জামিন পেয়েছেন গণহত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ডালিম পাণ্ডে এবং তপন দে-ও।

Advertisement

সিপিএম নেতার জামিনের পর সিবিআইয়ের দিকে আঙুল তোলেন জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন। তিনি জানান, প্রতি তিন মাস অন্তর নিম্ন আদালতে মামলার গতিপ্রকৃতি জানানোর কথা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় নেতাইকাণ্ডে ৩০ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ১১ মাসে মাত্র ৪২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে নেতাই মামলায় ১১৬ জন সাক্ষী। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘আজ নেতাইয়ের বাসিন্দারা সিবিআইয়ের কাছে প্রশ্ন করছেন। তাঁরা রাজনৈতিক মামলায় এত সক্রিয়। অথচ নেতাইয়ের নয় শহিদের পরিবার কেন এখনও বিচার পাচ্ছে না? সিবিআইয়ের অপদার্থতার জন্য আজও নেতাই মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। শহিদ পরিবার বিচার পাচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন