তারা ঘোষিত ভাবে রাজ্য সরকারেরই সমর্থক। কিন্তু এ বার সেই সরকারেরই বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তুলল রেশন দোকানের মালিকদের তৃণমূল কংগ্রেস প্রভাবিত তিনটি সংগঠন। শুধু অভিযোগ তুলেই ক্ষান্ত হয়নি তারা। সমস্যার সুরাহা না-হলে আন্দোলনে নামা এবং আইনি পথে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
রেশন-মালিকদের ক্ষোভ মূলত দু’টি কারণে। প্রথমত, দোকান চালানোর শর্তাবলি কঠোর করা হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ। দ্বিতীয়ত, কমিশন বৃদ্ধির যে-দাবি তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছেন, সরকার সেই ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করছে না।
নিজেদের দাবি এবং অসন্তোষের ব্যাপারে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিতে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিল ফেয়ার প্রাইস শপওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বেঙ্গল ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার্স জাতীয়তাবাদী সংগঠন। তাদের পক্ষে নির্মল দাশ ও কাঞ্চন খান অভিযোগ জানান, সম্প্রতি একটি নির্দেশিকা জারি করে রেশন দোকান চালানোর সব শর্তই কঠোর করা হয়েছে। যেমন, এত দিন ২০০ বর্গফুট জায়গা দেখাতে পারলেই রেশন দোকান করার অনুমতি পাওয়া যেত। কিন্তু সরকার মাসখানেক আগে একটি নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, এ বার থেকে নতুন রেশন দোকান করা অথবা চালু রেশন দোকানের লাইসেন্স নবীকরণের জন্য ন্যূনতম ৬০০ বর্গফুট জায়গা দেখাতেই হবে। শুধু তা-ই নয়, লাইসেন্স ফি ছিল ৭৫০ টাকা। নতুন ব্যবস্থায় এক ধাক্কায় তা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এত দিন ব্যাঙ্কের সেভিংস অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা দেখাতে পারলেই রেশন দোকানের লাইসেন্স পাওয়া যেত। রেশন-মালিকদের অভিযোগ, নতুন সরকারি নির্দেশিকায় তা বাড়িয়ে এক লাফে পাঁচ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। অথচ ডিলারদের কমিশন বাড়ানোর বিষয়ে সরকার কোনও ভাবেই কিছু করছে না। এই পরিস্থিতির বদল না-হলে পথে নেমে অন্দোলন, এমনকী আদালতে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছেন সরকারের সমর্থক তিন সংগঠনের নেতারা। রেশন দোকানের মালিকদের অভিযোগের ব্যাপারে খাদ্য দফতরের বক্তব্য, সময়ের চাহিদা মেনেই নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে।