মন্দিরে মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রামে থাকাকালীন বুধবার সকালে চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে পুজো দিলেন মুকুল রায়। মুকুলবাবুর কথায়, “রিলিজিয়াস কমিটমেন্টের জায়গা থেকে পুজো দিতে এসেছি।”
গত জানুয়ারিতে নেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব ঘোচার সন্ধিক্ষণে জঙ্গলমহলে ব্যক্তিগত সফরে এসেছিলেন মুকুলবাবু। ওই সময় চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে প্রথমে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নিজের নামে ও ছেলে শুভ্রাংশুর নামে পুজো দিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের একদা ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’। নতুন সরকার গঠনের পরে এখন মুকুলবাবুর দায়িত্ব আরও বেড়েছে। দলীয় সূত্রের খবর, মুকুলবাবু ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, তাঁর মনস্কামনা পূর্ণ হয়েছে। তাই তিনি চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে পুজো দিয়ে কলকাতায় ফিরতে চান। দলীয় সূত্রের খবর, মন্দিরে পুজো দিয়ে কলকাতায় ফিরবেন বলে নেত্রীর অনুমতি নেন। নেত্রী তাঁকে পুজো দেওয়ার জন্য প্রণামীর টাকাও দেন।
মুকুল রায় আসবেন বলে সকাল সাড়ে সাতটায় মন্দির খোলা হয়। আগে ভাগেই হাজির ছিলেন জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা কনকদুর্গা মন্দির উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি সমীর ধল, তৃণমূলের কিষান খেতমজুর শাখার জামবনি ব্লক সভাপতি অর্জুন হাঁসদা। সকাল ৯ টা নাগাদ কনকদুর্গা মন্দিরে পৌঁছন মুকুল রায়। সঙ্গে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর যুব তৃণমূলের সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরি। পরে এসে পৌঁছন ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান তথা ঝাড়গ্রাম সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুর্গেশ মল্লদেব।
পুজো দেওয়ার সময় মুকুলবাবুর কাছে পূজারী আতঙ্কভঞ্জন ষড়ঙ্গী জানতে চান, কার নামে সঙ্কল্প করবেন। মুকুলবাবু বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাণ্ডিল্য গোত্র’। এরপর নিজের নামে, ছেলে শুভ্রাংশু ও নাতি-নাতনির নামেও পুজো দেন মুকুলবাবু। চার হাজার টাকা প্রণামীও দেন। মুকুলবাবু পূজারীকে জানিয়ে দেন, এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো প্রণামীও রয়েছে।
চিল্কিগড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশে মুগ্ধ মুকুলবাবু পরের বার সপরিবারে আসবেন বলে জানান। জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমীর ধল মকুলবাবুর কাছে চিল্কিগড়ের মন্দির চত্বর ও সংলগ্ন এলাকার পর্যটন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থ সাহায্য চান। মুকুলবাবু বলেন, ‘‘সরকারের সঙ্গে কথা বলে যথাসাধ্য বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।”
কলকাতা ফেরার আগে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আলাদা করে প্রসাদী ফুল ও মিষ্টির প্যাকেট ঝাড়গ্রামের পুরপ্রধান দুর্গেশ মল্লদেবের হাতে দিয়ে মুকুলবাবু বলেন, “এটা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিও।”