Beleghata ID

আইডি-র গবেষণায় নতুন দিশার সন্ধান

গবেষণার অন্যতম শরিক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:১৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

করোনা রোগে কনভালসেন্ট প্লাজ়মা থেরাপির প্রয়োগ নিয়ে নতুন সম্ভাবনার সন্ধান দিল বেলেঘাটা আইডি-র গবেষণা।

Advertisement

আইসিএম‌আরের গবেষণা কোভিড চিকিৎসায় সিপিডি-র কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছিল। রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে বেলেঘাটা আইডি’তে হওয়া সিপিটি ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি। গবেষণার অন্যতম শরিক কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইমিউনো হেমাটোলজি অ্যান্ড ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ।

দীর্ঘ সাত মাস ধরে চলা সেই গবেষণার পর্যবেক্ষণ হল, ৬৭ বছরের নীচে গুরুতর অসুস্থ (সিভিয়র) করোনা রোগীদের আক্রান্ত হ‌ওয়ার দশ দিনের মধ্যে সিপিটি দেওয়ায় ভাল ফল মিলেছে। গবেষকদের বক্তব্য হল, সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে গবেষণায় যোগদানকারী বেশির ভাগ রোগীই উপকৃত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রে ছাপার পূর্বে ‘মেড আর্কাইভে’ তা প্রকাশিত হয়েছে। রাজ্যের প্লাজ়মা ট্রায়ালের অন্যতম কান্ডারি তথা সংক্রামক রোগের চিকিৎসক যোগীরাজ রায় টুইটারে সে কথা জানিয়েছেন। গবেষণার প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর তথা আইআইসিবি-র ইমিউনোলজিস্ট দীপ্যমান গঙ্গোপাধ্যায়‌ও ‘মেড আর্কাইভে’ প্রকাশিত রিপোর্টে গবেষণার তাৎপর্যপূর্ণ দিকটি তুলে ধরেছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ রাজ্যেও

আইসিএম‌আর-এর পর্যবেক্ষণের নিরিখে রাজ্য এবং কেন্দ্রের‌ই আর একটি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা যে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ, তা এক বাক্যে স্বীকার করছেন চিকিৎসক-গবেষকেরা। তবে অনেকগুলি পরীক্ষাকেন্দ্রের পাশাপাশি আইসিএম‌আর-এর গবেষণায় স্বেচ্ছাসেবকের সংখ্যা বেশি ছিল। রাজ্যের গবেষণায় একমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বেলেঘাটা আইডি। চিকিৎসক-গবেষকদের একাংশের অবশ্য বক্তব্য, কাকে সিপিটি দেওয়া হবে, কবে দেওয়া হবে এবং কখন দেওয়া হবে এবং কার কাছ থেকে প্লাজ়মা নেওয়া হবে, এই সিদ্ধান্তগুলিই দু’টি গবেষণার মধ্যে তফাৎ গড়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের সঙ্ঘাত? জোন পর্যবেক্ষক পদে সৌমিত্রর সব নিয়োগ আটকে দিলেন দিলীপ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন