Narkeldanga Fire

অগ্নিকাণ্ড এবং মৃত্যু ঘিরে নারকেলডাঙায় হুলস্থুল, তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিয়ে অভিযোগ মেয়রের কাছে

নারকেলডাঙার খালপাড়ের বস্তিতে শনিবার রাতে আগুন লাগে। বহু ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এক জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৭
Share:

পুলিশের সামনেই ধস্তাধস্তি এলাকায়। ছবি: সংগৃহীত।

নারকেলডাঙার বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দায় কার? প্রশ্ন তুলে রবিবার সকাল থেকেই তপ্ত এলাকা। পথে নেমে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন গৃহহীন বাসিন্দারা। পরে ঘটনাস্থলে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম পৌঁছতেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। তাঁর কাছেই স্থানীয় কাউন্সিলর সচিন সিংহের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেন। তবে ফিরহাদ এলাকা ছাড়তেই উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ান কাউন্সিলরের অনুগামীরা। দুই পক্ষকে নিরস্ত্র করতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

Advertisement

নারকেলডাঙার খালপাড়ের বস্তিতে শনিবার রাতে আচমকাই আগুন লাগে। বহু ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘণ্টা চারেকের চেষ্টায় দমকলের ১৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় হাবিবুল্লা মোল্লা নামে এক ঝুপড়িবাসীর মৃত্যু হয়। সেই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আগুন লাগার অন্তত দু’ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে যায় দমকল। তত ক্ষণে আগুন অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছিল।

বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে এলাকায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলর তোলা তোলেন। টাকার বিনিময়ে বেআইনি ভাবে দোকান, ঝুপড়ি করার অনুমতি দিতেন তিনি। যদিও সেই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, তাঁকে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। তার পরই তিনি নারকেলডাঙা থানার সামনে ধর্নায় বসে পড়েন। তাঁর দাবি, নিরাপত্তা না পেলে সরবেন না। বিক্ষোভরত স্থানীয়রাও ঘটনাস্থল ছাড়েননি।

Advertisement

রবিবার সকালে সচিনকে সঙ্গে নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন। কথা বলেন মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও। পরে ফিরহাদ বলেন, ‘‘সেচের জমিতে ওঁরা অনেক দিন ধরেই থাকছিলেন। গরিব মানুষদের সঙ্গে আমরা আছি। সরকারি নিয়ম মেনে যা করার করব। সেচ দফতর যদি অনুমতি দেয়, তবে ওখানে বাংলার বাড়ি হতে পারে।’’ তবে কী কারণে আগুন লাগল, তা দমকলই বলতে পারবে বলে জানান মেয়র।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement