TMC

কাটমানি কাণ্ডে অভিযুক্ত রেজ্জাকের ছেলে, ভাঙড়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

এই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে মোস্তাকের প্রতিক্রিয়া: ‘‘যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা আরাবুল অনুগামী। বিভিন্ন মামলায় জেলও খেটেছেন। আমি বিভিন্ন প্রকল্পে মাটি চুরির প্রতিবাদ করেছিলাম। এ বিষয়ে হিডকো চেয়ারম্যান-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে অভিযোগও জানিয়েছি। সে কারণেই আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’ পাল্টা অভিযোগে মোস্তাক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ১৬:৪২
Share:

কাটমানি বিতর্কে যাঁরা। বাঁ দিকে মোস্তাক আহমেদ ও ডান দিকে আরাবুল ইসলাম। ফাইল চিত্র

কাটমানি ফেরানোর দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভের আঁচ এ বার এসে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়েও। অভিযোগের তির এ বার তৃণমূল নেতা, রাজ্যের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার ছেলে মোস্তাক আহমেদের বিরুদ্ধে।

Advertisement

একটি হিমঘর তৈরি এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে এই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মণিরুল জামান মোল্লা এবং লালবাবু মোল্লা। এই কাটমানি নেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে মোস্তাকের প্রতিক্রিয়া: ‘‘যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁরা আরাবুল অনুগামী। বিভিন্ন মামলায় জেলও খেটেছেন। আমি বিভিন্ন প্রকল্পে মাটি চুরির প্রতিবাদ করেছিলাম। এ বিষয়ে হিডকো চেয়ারম্যান-সহ প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে অভিযোগও জানিয়েছি। সে কারণেই আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’ পাল্টা অভিযোগে মোস্তাক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আরাবুল ইসলাম বলেন, ‘‘কারা অভিযোগ করেছে, কে আমার নামে কী বলছে, এ বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।’’

Advertisement

অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের চাপানউতোর। নিজস্ব চিত্র

ভাঙড় (২) জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাক। বিভিন্ন দরকারে তাঁর সাহায্য নেন বাসিন্দারা। মণিরুল জামান মোল্লা এবং লালবাবু মোল্লার অভিযোগ, হিমঘর এবং জমি সংক্রান্ত ঘটনায় তিন বছর আগে তাঁদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা কাটমানি নিয়েছিলেন মোস্তাক। কিন্তু এর পর থেকে মোস্তাক তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ফোন করলে ধরতেন না। এমনকি, ফোন কেটেও দিতেন। প্রতিবাদ করলে শেষে তাঁদের হুমকি দিতেও মোস্তাক পিছপা হননি বলে তাঁদের অভিযোগ। এর পরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মণিরুল ও লালবাবু।

এই অভিযোগের নেপথ্যে আরাবুল ইসলামের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার অনুগামীদের। তাঁদের বক্তব্য, একদা সিপিএম থেকে আসা তৃণমূলের আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা এবং মোস্তাককে রাজনৈতিক ভাবে বিপদে ফেলার জন্য এমন অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চরমে।

আরও পড়ুন: জামাত জঙ্গিকে জেরা করে উদ্ধার প্রচুর আইইডি, হামলার লক্ষ্য এ রাজ্যই, সন্দেহ গোয়েন্দাদের

আরও পড়ুন: হালিশহরে ফের ফুলবদল! ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম ধরা চেয়ারম্যান, কাউন্সিলররা ফের তৃণমূলেই

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন