মার্কিন অস্ত্র কেনায় গোসা ইছাপুরের

সংস্থাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন। কিন্তু তাদেরই কপালে জুটল না মন্ত্রকের বরাত! সেই বরাত পেয়েছে এক মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা সংস্থা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৬
Share:

ইছাপুরে তৈরি রাইফেল। —নিজস্ব চিত্র।

সংস্থাটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন। কিন্তু তাদেরই কপালে জুটল না মন্ত্রকের বরাত! সেই বরাত পেয়েছে এক মার্কিন অস্ত্র নির্মাতা সংস্থা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর জন্য প্রায় ৭২ হাজার উন্নত মানের অ্যাসল্ট রাইফেল কেনার বরাত দিয়ে একটি মার্কিন অস্ত্র সংস্থার সঙ্গে চুক্তি সই করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওই মন্ত্রক সূত্রের খবর, একই ধরনের রাইফেল তৈরি করেছে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরিও। কিন্তু ওই কারখানার কর্তাদের আক্ষেপ, সেই রাইফেলের কদর করেনি ভারতীয় সেনা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশীয় শিল্পের উন্নতির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নীতি ঘোষণা করেছিলেন। তা সত্ত্বেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন সংস্থার বদলে বিদেশ থেকে একই মানের রাইফেল কেনা হচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইছাপুরের রাইফেলের তুলনায় মার্কিন অস্ত্রের দামও বেশি। ৭২ হাজার রাইফেলের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশের সংস্থার কাছ থেকে কিনলে এই টাকা দেশেই থাকত।

Advertisement

আরও পড়ুন: সেনা প্রস্তুত কতটা!

ইছাপুর অস্ত্র কারখানা সূত্রের খবর, ২০১৭ সাল পর্যন্ত সেনার ‘প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টিম’ কারখানায় এসেছিল। কিন্তু তার পরে আর আসেনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অন্য একটি সূত্রের দাবি, একই ধরনের রাইফেল হলেও বিদেশি রাইফেল অনেক বেশি উপযোগী। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে সেগুলোই কেনা হচ্ছে।

তবে ইছাপুরের রাইফেল নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তেলঙ্গানা পুলিশের ‘গ্রে হাউন্ড’ কম্যান্ডো বাহিনী। ইছাপুর রাইফেল কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দিলীপকুমার মহাপাত্র জানান, তেলঙ্গানা পুলিশের এসপি পদমর্যাদার এক অফিসার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। ম্যাগাজিন ছাড়া ওই অ্যাসল্ট রাইফেলের ওজন প্রায় ৩.৮ কিলোগ্রাম। সহজে শত্রুর উপরে হামলা চালানো যায়। প্রতিটি ম্যাগাজিনে ৩০টি কার্তুজ থাকে।

আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা নিয়ে উঠছে যে যে প্রশ্ন

শুধু ওই রাইফেল নয়, আরও কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করেছে ইছাপুরের অস্ত্র কারখানা। তার মধ্যে রয়েছে ‘একে-৪৭’ রাইফেলের ধাঁচে তৈরি অ্যাসল্ট রাইফেল ‘ঘাতক’। মহাপাত্র জানান, ঘাতক কিনেছে সিআইএসএফ এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ। সিআরপি-ও আগ্রহী। স্নাইপার রাইফেলও তৈরি করেছেন তাঁরা। কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি তা কিনেছে বেশ কিছু রাজ্যের পুলিশ ও আধাসেনা। স্নাইপার রাইফেলে ‘নাইট ভিশন’ টেলিস্কোপিক লেন্স বসানোর প্রযুক্তি তৈরি হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন