ঘটকপুকুর যাওয়ার রাস্তা। —ফাইল চিত্র।
সুন্দরবনে পর্যটক টানতে চওড়া করা হচ্ছে রাস্তা।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ত দফতর এই রাস্তা তৈরির কাজ করবে। পূর্ত দফতরের এক কর্তা জানান, সুন্দরবন ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। আর তার গেটওয়ে হল ঘটকপুকুরের রাস্তা। এই রাস্তার উপর দিয়েই বাসন্তী, ধামাখালি হয়ে সুন্দরবন যাওয়া যায়। কিন্তু ওই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। তাই চার লেনের রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, বাইপাস থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা চার লেনের করার কাজ শুরু হবে আগামী বছর জানুয়ারি থেকে। এর জন্য খরচ ধার্য হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। যা পূর্ত দফতর বহন করবে। রাস্তা চওড়া হলে বানতলা, ভোজেরহাট, মালঞ্চ এবং নিউ টাউনের সড়ক যোগাযোগেও উন্নতি হবে। পূর্ত দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, রাস্তা সরু হওয়ায় প্রায়শ দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তা দিয়েই বানতলা চর্মনগরী যেতে হয়। রাস্তা সম্প্রসারণ হলে কম সময়ে সহজেই বানতলা চর্মনগরী থেকে নিউ টাউনের তথ্যপ্রযুক্তি নগরীতে চলে যাওয়া যাবে। বর্তমানে ধামাখালির দিকে যাওয়ার রাস্তার বাম দিকে নিউ টাউনে যাওয়ার রাস্তা গিয়েছে। সেই রাস্তাও চওড়া করা হবে।
ভাঙড়ের বিধায়ক তথা, রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লার বিধানসভা এলাকার মধ্যেই তৈরি হচ্ছে ওই রাস্তা। তিনি বলেন, ‘‘সুন্দরবনে বেশি করে পর্যটক টানতে সায়েন্স সিটি থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত রাস্তা চার লেনের করা হচ্ছে। এর ফলে চর্মনগরীতে যেতেও সুবিধা হবে।’’
ক্যানিং ইস্টের বিধায়ক শওকত মোল্লার বিধানসভা এলাকার মধ্যে দু’লেনের রাস্তা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘চণ্ডীপুর থেকে সড়বেড়িয়া পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার রাস্তা দু’লেনের হয়েছে। সড়বেড়িয়া থেকে বাসন্তী পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করার কাজ শুরু হয়নি। এই রাস্তা চওড়া হলে পর্যটক টানতে আরও সুবিধা হবে।’’