সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র-
তাপস পালের পর এ বার গ্রেফতার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। রোজভ্যালি কাণ্ডে ক্রমশই সিবিআইয়ের থাবা। এ বার গ্রেফতার হলেন সাংসদ। সূত্রের খবর, বেশ কিছু প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছিলেন বলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।
আগের খবর-
রোজভ্যালিকাণ্ডে সিবিআই তলব সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতরে হাজির হন তিনি। তাঁকে জেরা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
সিবিআই দফতরে পৌঁছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা জানতে এসেছি।’’ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে কিনা এ বিষয়ে দল যা বলার বলবে বলেও মন্তব্য করেন সাংসদ।
সিবিআই সূত্রে খবর, দু’দফায় সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে তদন্তকারী আধিকারিকেরা। প্রাথমিক পর্যায়ের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়ে গিয়েছে। সিজিও কমপ্লেক্সের নীচের তলায় প্রথমে রাখা হয়েছিল সুদীপকে। সেখান থেকে তাঁকে দ্বিতীয় তলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুটি প্রশ্ন তালিকা তৈরি করে তিনজন আধিকারিক মিলে জেরা করছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডুকে ব্যবসা সম্প্রসারণে সাহায্য করেছিলেন সুদীপ ও নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, সুদীপ-নয়না একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন রোজভ্যালির টাকায়। গৌতম কুণ্ডুকে করা জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দাবি সিবিআইয়ের। সিবিআইয়ের আরও দাবি, রোজভ্যালির সঙ্গে একাধিকবার আর্থিক লেনদেন হয়েছে সুদীপের। তাঁর আত্মীয়কে রোজভ্যালিতে চাকরিও দিয়েছিলেন গৌতম কুণ্ডু। এই সব প্রসঙ্গে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করা হবে সিবিআই সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ‘দাদা’র কিছুই মনে পড়ছে না
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাংসদ প্রভাব খাটিয়ে রোজভ্যালিকে ব্যবসা বাড়ানোয় সাহায্য করেন সুদীপ। চিফফান্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নজরদারি সংস্থার আতসকাচ থেকে রোজভ্যালিকে আড়াল করতে সক্রিয় ছিলেন তিনি। দিল্লিতে নিজের ফ্ল্যাটে একাধিকবার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিযোগ, রোজভ্যালির সঙ্গে তাঁর মোটা টাকার লেনদেন হয়। বিভিন্ন সময়ে রোজভ্যালির গাড়িও সুদীপ ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ। সিবিআই-এর মুখোমুখি হয়ে এসব অভিযোগেরই উত্তর দিতে হবে তৃণমূল সাংসদকে।