হত্যার রাজনীতি বঙ্গে, সরব সঙ্ঘ 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী-পুত্রের হত্যার ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক আখ্যা দিলেও সুর ভিন্ন ছিল স্থানীয় আরএসএস নেতৃত্বের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিজেপির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ‘হত্যার রাজনীতি’র নিন্দায় এ বার আসরে নামল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। আজ ভুবনেশ্বরে সঙ্ঘের তিন দিনের বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সঙ্ঘের সহ-সরকার্যবাহ মদনমোহন বৈদ্য বলেন, ‘‘বাংলায় জাতীয়তাবাদী চিন্তকদের হত্যা করা হচ্ছে, এটা দুর্ভাগ্যজনক। আরএসএস-ও এর হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।’’

Advertisement

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী-পুত্রের হত্যার ঘটনাকে বিজেপি রাজনৈতিক আখ্যা দিলেও সুর ভিন্ন ছিল স্থানীয় আরএসএস নেতৃত্বের। বিজেপি অভিযোগ করেছিল, বন্ধুপ্রকাশ সঙ্ঘের কর্মী বলেই তাঁকে হত্যা করেছে তৃণমূল। কিন্তু আরএসএস নেতারা তখনই বলে দিয়েছিলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি নেই। পুলিশি তদন্তেও প্রাথমিক ভাবে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। বৈদ্য এ দিন স্পষ্ট করে জিয়াগঞ্জের কথা বলেননি ঠিকই, কিন্তু তাঁর ইঙ্গিত সে দিকেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। সঙ্ঘ সূত্রের খবর, ভুবনেশ্বরের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের ‘রাজনৈতিক হত্যা’ নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হতে পারে।

সঙ্ঘের এ বারের বৈঠকের মূল লক্ষ্য সাংগঠনিক শক্তি বাড়ানোর পথ খোঁজা। রাজ্যে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের প্রেক্ষিতে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্ঘের সূত্র বলছে, ২০০৯ সালে মনমোহন সিংহ দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরেই গোটা দেশে ভিত মজবুত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই লক্ষ্য নিয়ে এগোতে এক বছরের মধ্যেই সাড়া আসতে শুরু করে। ২০১০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত গোটা দেশে শাখার সংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার বেড়েছে। শুধু গত বছরের

Advertisement

তুলনাতেই শাখা বেড়েছে দেড় হাজারের বেশি। নতুন সদস্যদের মধ্যে যুবকের সংখ্যাই বেশি। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পরে সঙ্ঘ সম্পর্কেও যে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে, তা অস্বীকার করছে না আরএসএস। সংগঠনে যোগ দেওয়ার জন্য আরএসএস ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এখন প্রতি বছর গড়ে এক লক্ষের বেশি ব্যক্তি সেখানে আগ্রহ দেখাচ্ছেন বলে সঙ্ঘ সূত্রের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন